• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বৈশাখী উৎসব সংস্কৃতির গৌরবময় উত্তরাধিকার : শিল্পমন্ত্রী


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০১:৪৫ পিএম
বৈশাখী উৎসব সংস্কৃতির গৌরবময় উত্তরাধিকার
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন

ডেস্ক রিপোর্টার : শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বৈশাখী উৎসব বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির গৌরবময় উত্তরাধিকার। তিনি বলেন, এ উৎসব’কে ঘিরে জাতি-ধর্ম-বর্ণ কিংবা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকল মানুষের মধ্যে এক ধরনের সম্মিলন ও ঐক্য গড়ে ওঠে।

১৪ এপ্রিল বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এবং বাংলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত পক্ষকালব্যাপী ‘বৈশাখী মেলা-১৪২৯’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে এ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর উপস্থিত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বৈশাখী মেলা আবহমান বাংলার চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। হাজার বছর ধরে গ্রাম-গঞ্জে এ মেলার আয়োজন হলেও ইদানিং শহর-নগরেও এ মেলা অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায়। বাংলা একাডেমি চত্ত্বরে আয়োজিত এই বৈশাখী মেলা এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি নগরবাসীকে ক্ষণিকের জন্য হলেও অনাবিল আনন্দ উপভোগের সুযোগ করে দিচ্ছে।

নূরুল মজিদ হুমায়ুন বলেন, দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প পণ্যের বিপণন ও প্রদর্শনের সাথে রয়েছে এ ধরনের মেলার নিবিড় সম্পর্ক। বিসিক’র শিল্প পণ্যের ক্রয়-বিক্রয়ের স্থান হিসেবে মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করে। শুধু উৎপাদিত পণ্যের ক্রয়-বিক্রয়ই হয় না, নতুন নতুন নকশা, নমুনা, উৎস, দর ইত্যাদির সাথে ক্রেতা-বিক্রেতা ও উৎপাদকের পরিচয় ঘটে। তাই পণ্যের বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের অন্যতম মাধ্যম হলো মেলা।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালির সবচেয়ে বড় সার্বজনীন ও অসাম্প্রদায়িক উৎসব। পহেলা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ উদযাপনকে ১৯৫৮ সালে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু সরকারি বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে সে সময় পূর্ব বাংলার মানুষ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নববর্ষ উদযাপনে এক কাতারে শামিল হয়।

কে এম খালিদ বলেন, বাংলা নববর্ষ উদযাপনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে আয়োজিত পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা নতুন মাত্রা যোগ করে।

তিনি বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানাদি প্রতীকী অর্থে হয়ে পড়ে, সন্ত্রাস-মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ-সাম্প্রদায়িকতা এবং সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে এক জোরালো সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ। বর্তমান সংস্কৃতিবান্ধব সরকারের দৃঢ় প্রচেষ্টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা ২০১৬ সালে ইউনেস্কোর নির্বাচিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে বিশ্বস্বীকৃতি লাভ করেছে।

শুক্রবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে ১৫ দিনব্যাপি এ মেলার ১০০টি স্টলে বিসিক থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত উদ্যোক্তাদের তৈরি হস্ত ও কুটির শিল্পজাত বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী স্থান পেয়েছে। মেলা থেকে ক্রেতারা কারুপণ্য, নকশিকাঁথা, পাটপণ্য, বুটিকস পণ্য, জুয়েলারি, লেদার গুডস, অর্গানিক ফুডস, ইলেকট্রনিকস পণ্য, মধুসহ নিত্য ব্যবহার্য বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image