
পীরগঞ্জ প্রতিনিধি, রংপুর: রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন বিস্তৃত এলাকায় সরিষা ক্ষেতের শোভা পাচ্ছে । আর এ সরিষার ক্ষেতে মৌ চাষের বাক্স বসিয়ে মধু আহরণ করছেন অনেক কৃষক। এ মধু আহরন সরিষা ফসলের সাথী ফসল মনে করে বাড়তি আয়ও করছেন কষকেরা । শুধু তাই নয় এ প্রক্রিয়ায় মৌমাছির মাধ্যমে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করায় সরিষার পরাগায়নে সহায়তা হচ্ছে। আর সরিষার উৎপাদনও বাড়ছে।
পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এ উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় এ বছর ১ হাজার ৭’শ ৫০ হেক্টর জমিতে উন্নতজাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। এ সব সরিষা ক্ষেতের বেশ ক’টিতে সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি বিভাগ। এ প্রক্রিয়ায় সরিষা ক্ষেতে মৌ বাক্স চাষীরা মধু সংগ্রহ করছে। কৃষি বিভাগের মতে সরিষা ক্ষেত থেকে মধু সংগ্রহ সাথী ফসলের সমতুল্য এবং সরিষা ফুলের মধু দিয়ে চাষীরা পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয়ও করতে পারছেন।
গত রোববার উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, সরিষা ক্ষেতের ১ টি মৌ চাষের বাক্স স্থাপন করেছেন ডিপটি মিয়া। এ বছর তিনি পরীক্ষা মূলকভাবে মৌ বাক্স স্থাপন করেছেন। শুরুতেই মধু চাষের সফলতার আসা করছেন তিনি। ডিপটি মিয়া বলেন, সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহের পদ্ধতি সম্পর্কে উপজেলা কৃষি বিভাগ প্রশিক্ষণ দিয়েছে। আমরা পরীক্ষামুলকভাবে মধু সংগ্রহ শুরু করেছি এবং মধুও পাচ্ছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাদেকুজ্জামান সরকার জানান, পরীক্ষা মুলক ভাবে এ বছর উপজেলায় কৃষি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ৫ জন চাষিকে বিনামূল্যে মাছি ও মৌ চাষের বাক্স দেয়া হয়েছে। তার মতে মৌমাছি সরিষার ফুলে উড়ে বসে মধু সংগ্রহ করে। এতে সরিষা ফুলে সহজে পরাগায়ণ ঘটে। সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌ চাষের বাক্স স্থাপন করা হলে সরিষার ফলন অধিক হয়। পাশাপাশি চাষিরা মধু আহরণ করে বাড়তি টাকাও আয় করতে পারেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / বখতিয়ার রহমান/কেএন
আপনার মতামত লিখুন: