নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে বখাটের উৎপাত সহ্য করতে না পেরে শম্পা আক্তার (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৮ জুন) বিকেলে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের আলালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শম্পা ওই এলাকার শেখবর আলীর মেয়ে। সে নগরীর শম্ভুগঞ্জ ইউসি (ইউনিয়ন কাউন্সিল) উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
এ তথ্য নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে স্কুলছাত্রীর মরদেহে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কোনো ক্লু পাওয়া গেলে এর বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন ওসি শাহ কামাল আকন্দ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম জানান, শম্পা আত্মহত্যা করার পর তার মা ও এক ফুফু বিদ্যালয়ে এসে জানিয়েছে। তবে, শম্পা বখাটের উৎপাত বা ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছিল এ ধরনের কোনো অভিযোগ জানা নেই।
তবে, শম্পার বাবা মো. শেখবর আলী সাংবাদিকদের জানান, আমার মেয়ে স্কুলে যাওয়ার আসার পথে এক বখাটে নিয়মিত বিরক্ত করতো। ওই বখাটের সঙ্গে আমার মেয়ের এক বান্ধবীর পরিচয় ছিল। ওই মেয়েটা ছেলেটাকে সহায়তা করতো। ওই ছেলের
কারণে আমার মেয়ে মোবাইল নাম্বার পাল্টিয়েছিল। কিন্তু ওই মেয়ে মোবাইল নাম্বার ওই ছেলেকে দিয়ে দেয়। সকালে ওই বখাটে আমার মেয়েকে মোবাইল করে ফুসলিয়ে গৌরীপুর উপজেলার কলতাপাড়া বাজার এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে থেকে
ফিরে এসে সে বাড়িতেই ছিল। তবে, তার মন খারাপ ছিল, কারোর সঙ্গে সে তেমন কথাবার্তা বলেনি। বিকেলে এ ঘটনায় আমার মেয়ে নিজের ঘরে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে ঘরের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করা হয়। ছাত্রী শম্পার বাবা অভিযোগ করে আরো বলেন, আমার মেয়ে ওই বখাটের অত্যাচারে আত্মহত্যা করেছে। আমি তার কঠিন বিচার চাই। তবে, ওই বখাটের পরিচয় বলতে পারেননি তিনি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / মো. নজরুল ইসলাম/কেএন
আপনার মতামত লিখুন: