আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের মধ্যে স্থানীয় সময় শনিবার (২৩ এপ্রিল) কিয়েভের একটি মেট্রোস্টেশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কিয়েভ কীভাবে রাশিয়ান বাহিনী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোতে সম্ভাব্য স্বাধীনতা গণভোটের প্রতিক্রিয়া জানাবে।
এর জবাবে জেলেনস্কি বলেন, ‘মারিউপোলে আমাদের জনগণের ওপর যদি হামলা চালানো হয়, ইউক্রেনের কোনো অঞ্চলে যদি ছদ্ম-গণভোট আয়োজন করা হয় তাহলে ইউক্রেন যে কোনো আলোচনা প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করবে।’
এদিকে রাশিয়ার সামরিক অভিযান ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি করার সক্ষমতায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে উল্লেখ করে, ‘দৃষ্টিভঙ্গি’ পরিবর্তন করে এশিয়ার দেশগুলোকে কিয়েভের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট শনিবার (২৩ এপ্রিল) সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আমাদের ঐক্য এবং শক্তির সাহায্যে ইউক্রেনের প্রতি অনেক ইউরোপীয় দেশের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে পেরেছি। আমি চাই, এশিয়ার দেশগুলো ইউক্রেনের প্রতি তাদের আচরণ পরিবর্তন করুক।’ খবর আলজাজিরার।
রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে প্রায় ৯০ মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য রপ্তানি করতে পারেনি ইউক্রেন। এর ফলে কিছু জায়গায় দাম বৃদ্ধি এবং ঘাটতি দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে জেলেনস্কি বলেন, ‘এর অর্থ হতে পারে অনাহার। রাশিয়া এটাই করেছে। আমরা এখন দেখছি যে এই যুদ্ধ কেবল ইউরোপে নয়, এর প্রভাব অন্য মহাদেশেও পড়েছে। কারণ মানুষের জীবন এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি তাদের (রাশিয়া) কোনো সম্মান নেই।
ইউক্রেনে হামলার মাত্রাও বাড়িয়েছে রুশ বাহিনী। শনিবার (২৩ এপ্রিল) ওদেসায় রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শিশুসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। শহরটিতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত হয় বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন। এদিন লুহানস্কেও হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।
হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সংবাদমাধ্যম আরটি জানায়, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। তবে আবাসিক ভবনে হামলার বিষয়ে কোনো কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: