• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

চবির আইন বিভাগের শিক্ষক নুমান শুভ'র অব্যাহতি চান শিক্ষার্থীরা 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২০ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:০৪ পিএম
চবির আইন বিভাগের শিক্ষক নুমান শুভ'র অব্যাহতি চান
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসান মোহাম্মদ রোমান শুভ'র শিক্ষকতা পেশা থেকে অব্যাহতি চেয়ে ডিন বরাবর আবেদন করেছেন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২০ আগষ্ট) সকালে আইন অনুষদের ডিন বরাবর আবেদননপত্র জমা দেন তাঁরা।

আবেদনপত্রে বলা হয়েছে,  আমরা আইন বিভাগের বর্তমান সকল ব্যাচের সকল শিক্ষার্থী সর্বসম্মতিক্রমে জানাতে চাই যে, আমরা হাসান মুহাম্মদ রোমান শুভ (শিক্ষক আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) এর আইন বিভাগের শিক্ষকতা পেশা থেকে অব্যাহতি চাই। 

আবেদন পত্রে  শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে পতন হওয়া ফ্যাসিস্ট সরকারের কর্মকান্ড ও ২৪ এর গণহত্যাকে সমর্থন দেওয়া এবং ফ্যাসিস্টদের দোসর হিসেবে কাজ করা। ছাত্রদের নিজের বাসায় ডেকে মাদকের আসর বসানো এবং নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছাত্রদের ব্যক্তিগত জীবন ও আইন বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষকদের নিয়ে অকথ্য ভাষায় কথা বলা, গালিগালাজ করা এমনকি অনেক ছাত্রকে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহার করা। ছাত্রলীগকে মদদ দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয়া এবং রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা।  ক্লাস পরিচালনাকালীন সময়ে এবং নিজ অফিসকক্ষে ডেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ট্যাগ দেয়া (যেমন জামাত,শিবির এর এজেন্ট এবং অন্যান্য), বিভিন্নভাবে হয়রানি করা এবং ক্লাসের মধ্যে ছাত্রদের টার্গেট করে হেয় প্রতিপন্ন করা। প্রক্টর থাকাকালীন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং ক্যাম্পাসের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের মদদ দেওয়ার মাধ্যমে সাধারণ ছাত্রদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হয়রানি করা। ছাত্রদের রেজাল্ট নিয়ে হুমকি দেওয়া, ভয়ভীতি প্রদর্শণ করা।  শিক্ষক হিসেবে তার একাডেমিক ও নৈতিকদায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগ আনেন। 

আবেদন পত্রে আরও বলা হয়েছে, উপরিউক্ত সব অভিযোগই সত্য ও সাধারণ ছাত্ররা এর ভুক্তভোগী। অতএব, তাকে আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষকতা থেকে  অব্যাহতি প্রদান করা হোক অথবা ২৪ সেন্টার মধ্যে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে সাধারণ ছাত্রদের মুক্তির পথ সুগম করুক অন্যথায় সর্বাত্মক আন্দোলনে যাবে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা। 

এ বিষয়ে  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, ' শিক্ষার্থীরা আমার কাছে  একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছে । এটা নিয়ে তদন্ত হবে ।  তদন্তে অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image