• ঢাকা
  • শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

টাকা ছাড়া মেলেনা মানিকগঞ্জ সরকারি হাসপাতালের সেবা


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ০২ আগষ্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:২৮ পিএম
সরকারি হাসপাতালের সেবা
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতাল

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে টাকা ছাড়া মিলছে না সেবা। এতে ভোগান্তিতে সাধারণ রোগীরা। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ট্রলি, স্ট্রেচার ও হুইলচেয়ার ব্যবহার করলে টাকা দিতে হয় আয়া-ওয়াডর্বয়দের। টাকা না দিলে সহযোগিতা পায়না রোগীরা। দিনের পর দিন হাসপাতাল কতৃর্পক্ষের নাকের ডগায় রোগীর কাছ থেকে এমন জবরদস্তিমূলক বকশিশ আদায়ের ঘটনা ঘটলেও রহস্যজনক কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, গত ২৭ জুলাই ঘিওর উপজেলার বাইলজুরি গ্রাম থেকে রিপন মিয়া তার স্ত্রী তানিয়াকে সিজার করাতে নিয়ে আসেন সদর হাসপাতালে । ওটিতে নিয়ে যাওয়ার পরেই শুরু হয় তার সাথে তালবাহানা প্রথমে চাম্পা নামের এক পরিচ্ছন্ন কর্মী এসে তাকে সরাসরি বলেন আপনার স্ত্রীর সিজার করাতে ১০ হাজার টাকা লাগবে। তিনি দিতে রাজি না হওয়ায় পদে পদে খোশতে থাকে তার পকেটের টাকা। ২৮ জুলাই রিপনের স্ত্রীকে ডাক্তার ওটিতে পাঠানোর পর থেকে শুরু হয় টাকা খরচের পালা।

বর্তমান ওটি ইনচার্জ শামীমা সুলতানা ও ফাতেমা আক্তার সিজারের জন্য ৩১০০ টাকার ঔষুধের একটি তালিকা তৈরী করে রিপন মিয়াকে আনতে বলেন। কোন উপায় না পেয়ে দিনমজুর রিপন মিয়া তাদের লিখিত ঔষুধ গুলো এনে দেয়। সিজার শেষ হলে শুরু হয় বকশিসের বানিজ্য আয়া, ওয়ার্ডবয়, পরিচ্ছন্ন কর্মী থেকে নাম না জানা আরো অনেকেই বকশিস দিতে হয় প্রায় ৩৯০০ টাকা। এমনকি সরকারি হাসপাতালে নিজের নবজাতক সন্তানকে কোলে নিতে স্বপন নামের এক ওয়ার্ডবয়কে দিতে হয় ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা।

হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের ইনচার্জ হিসেবে বর্তমানে দায়িত রত শামীমা সুলতানা তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা সবাইকে সেবা দিচ্ছি। এর বিনিময়ে কোন টাকা পয়সা নেই না। ঔষধ হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয় । যে ঔষধ সাপ্লাই নাই সেগুলো বাইরে থেকে আনতে হয়।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক জানান, স্ট্রেচার, হুইলচেয়ার ও ট্রলি সেবা দিয়ে জোরপূবর্ক অর্থ আদায়ের মতো হয়রানি ও অনিয়ম হাসপাতালের নিত্যদিনের ঘটনা। এমনকি বাড়তি উপাজর্ন করতে অনেক নার্স,আয়া ও পরিচ্ছন্নকর্র্মী হুইলচেয়ার নিজের জিম্মায় রাখছে। মৃত ব্যক্তির মরদেহ বহনের ক্ষেত্রেও ছাড় দেন না কর্মরত কর্মচারীরা। হাসপাতাল কমর্চারী নেতাদের একটি সিন্ডিকেট এ ইনকামের সুযোগ করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তাদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে জরুরী বিভাগ হতে ব্যাথার রোগী,শ্বাস-কষ্টের রোগীসহ বিভিন্ন ধরনের রোগীদের ৮ তলা ভবনে বিভিন্ন ইউনিটে যেতে হুইল চেয়ারের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে আয়া এবং ওয়ার্ড বয়দের সহায়তায় নেয়ায় প্রতিবার ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে টাকা দিতে হচ্ছে।

বিষয়টি সম্পর্কে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: রাসেল বলেন, টাকা নেয়ার কোন বিধান নেই। এ বিষয়ে আমরা একটি লিখি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

ঢাকানিউজ২৪.কম / সাকিব আহমেদ/কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image