• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় নতুনধরা গ্রুপ বদ্ধপরিকর


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০২:৪৭ পিএম
উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় নতুনধরা গ্রুপ বদ্ধপরিকর
ড. মো: সাদী উজ জামান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নতুনধরা গ্রুপ

কোহিনুর বেগম: ড. মো: সাদী উজ জামান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নতুনধরা গ্রুপ উল্লেখিত বিষয়ে বলেন, এলডিসি উত্তরণে অভিষ্ট্য লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে ইকোনমিক্যাল জোন তৈরী হলে সরকার পর্যাপ্ত জিডিপি অর্জন করবে। বর্তমানে জিডিপিতে আবাসন খাতের অবদান ৮ শতাংশের মতো। দক্ষিণ অঞ্চলে ইকোনমিক্যাল জোন বাস্তবায়ন হলে আবাসন খাতে প্রচুর বিনিয়োগ হবে বলে আশা করি। তাই আবাসন খাত মন্দায়। পড়লে সার্বিক অর্থনীতি মন্দার সম্মুখীন হবে, যা কখনো কাম্য নয়। করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আবাসন খাতের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া গেলে পরিস্থিতি এখনকার চেয়ে ভালো থাকবে। 

বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নে ধারাবাহিকতায় নতুনধরা গ্রুপের প্রকল্প উন্নয়নে অংশীদারীত্বে পদ্মাসেতু বাস্তবায়নে হাইওয়ে এক্সপ্রেস ওয়ে পদ্মসেতু সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ এলাকায় আবাসন ক্ষেত্রে আমরাও অগ্রগামী বলেছেন- ড. মো: সাদী উজ জামান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এই ব্যস্ততম শহরে সরকারি, বে-সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সুবিধার্থে স্বল্পমূল্যে প্রতিনিয়ত সেবা দিয়ে যাচ্ছি। বাড়ি-গাড়ির স্বপ্ন কে না দেখে, সবাই চায় নিজের একটি বাড়ি। কারও স্বপ্ন পূরণ হয়, কারও হয় না। বাড়ির স্বপ্নের বসতি নিয়ে রাজধানী ও এর চারপামে গড়ে উঠেছে নানা ধরনের আবাসন প্রকল্প। এই আবাসন প্রকল্পগুলো ঘিরেই স্বপ্ন বোনেন মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরা। যাঁদের সামর্থ্য কম, তাঁরা যৌথভাবে কয়েকজন মিলে আবাসন প্রকল্প থেকে জমি কেনেন। গড়ে তোলেন নিজেদের স্বপ্নের বাড়ি। রাজধানীর পূর্বাচল, উত্তরা, কেরানীগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আবাসান প্রকল্পের গন্ডি ঢাকার আশপাশ পেরিয়ে গাজীপুর, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জেও বিস্তৃত হয়েছে। এমন একটি প্রকল্প হলো নতুনধরা আবাসন। নতুনধরা লিমিটেড ঢাকা- মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের হাঁসাড়ায় সাড়ে তিন হাজার বিঘার এই প্রকল্পে বাস্তবায়ন করছে প্রকল্পের পুরো জমির উন্নয়নমূলক কাজ শেষ হয়েছে। ইতমিধ্যে বিক্রি হয়েছে ২৫ শতাংশ প্লট। এই প্রকল্পের প্রতি কাঠার সর্বনিম্ন দাম আট লাখ টাকা। আর সর্বোচ্চ দাম প্রতি কাঠা সাড়ে ২২ লাখ টাকা। 

এই প্রকল্পে যাঁরা জমি কিনবেন, তাঁরা গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, টেলিফোন, পয়োনিষ্কাশন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ স্টেশন- সব সুবিধাই পাবেন। এ ছাড়া থাকছে পানি শোধনাগার। আধুনিক সুবিধাসংবলিত নতুনধরা এক্সপ্রেস লাউঞ্জ অ্যান্ড কনভেশন সেন্টার নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পে থিম পার্ক, গোল্ডেন গার্ডেন, রেসট্রিকটেড বিউটিফাউড ওপেন থিয়েটার, বার্ড পার্ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, খেলার মাঠ, বিপণিবিতান, তারকা মানের হোটেল, উপাসনালয়- এসব সুবিধাও যুক্ত আছে। এদিকে ঢাকার অদূরে আধুনিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে গড়ে উঠছে পূর্বাচল প্রবাসী পল্লি প্রকল্প। এই প্রকল্পের ঠিকানা নরসিংদীর ছনপাড়া বাজারসংলগ্ন, জাইকা ইকোনমিক জোনের বিপরীতে। প্রকল্পের প্রস্তাবিত আয়তন ৯ হাজার ৬০০ বিঘা। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০৩০ সালে । ইতিমধ্যে পূর্বাচল প্রবাসী পল্লি প্রকল্পের ২০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে প্লট বিক্রি হয়ে গেছে ৩০ শতাংশের মতো। 

প্রকল্পটি রাজউকের ৩০০ ফুট রাস্তার শেষ প্রান্তে অবস্থিত হওয়ায় সব ধরনের নাগরিক সুবিধা পাওয়া যাবে। সার্বক্ষনিক সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তাব্যবস্থাও থাকবে। প্রকল্পে থাকবে বিশেষায়িত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। হাসপাতাল, শপিং কমপ্লেক্স, পার্ক, খেলার মাঠ, প্রাকৃতিক লেক, মসজিদ, সরকারি ও ব্যক্তিগত সড়কসহ নানান সুবিধা পাওয়া যাবে। এই প্রকেল্পে জমি কিনতে গেলে কাঠা প্রতি গুনতে হবে নূন্যতম ৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এখানে এক কাঠা জমির সর্বোচ্চ দাম পড়বে ৫১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ ছাড়া আমিন মোহাম্মদ ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের প্রকল্পগুলোর মধ্যে মতিঝিলের পাশে প্রায় ২ হাজার ৫০০ বিঘা জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে গ্রিন মডেল টাউন। আশুলিয়া মডেল টাউন গড়ে উঠেছে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ বিঘা জমি নিয়ে। 

উত্তরা তৃতীয় প্রকল্পের সঙ্গে উত্তরা ভিউ সেই তুলনায় বেশ ছোট প্রকল্প, জমির পরিমাণ ৩৭৯ বিঘা। প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে ছোট প্রকল্প ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন হেমায়েতপুরে আমিন মোহাম্মদ টাউনে জমি আছে প্রায় ৩০০ বিঘা। আমিন মোহাম্মদ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের আরও তিনটি প্রকল্প আছে। এর মধ্যে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন আমিন মোহাম্মদ সিটির জমি প্রায় ২ হাজার ৪৮৫ বিঘা। রামপুরা –বনশ্রী এলাকার গ্রিন বনশ্রীতে জমি আছে প্রায় ৪২৬ বিঘা। আর ঢাকা ইপিজেডের পাশে আলোকিত বাংলাদেশ  প্রকল্পে জমি অছে প্রায় ৫৩২ বিঘা। আমিন মোহাম্মদের এসব প্রকল্পে কাঠাপ্রতি সর্বনিম্ন জমির দামের মধ্যে গ্রিন মডেল টাউনে ৩৫ লাখ টাকা, আশুলিয়া মডেল টাউনে ১৫ লাখ টাকা, গ্রিন বনশ্রীতে ৩৫ লাখ টাকা। 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image