• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সাড়ে তিন ঘন্টা অবরোধ


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ আগষ্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১১:২৫ এএম
চা শ্রমিকরা সাড়ে তিন ঘন্টা অবরোধ
শত শত নারী চা শ্রমিক নারীরা ৩শত টাকা মজুরির দাবীতে মহাসড়কে

জহিরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার, শ্রীমঙ্গল: চা শ্রমিকদের স্লোগান  স্লোগানে মুখরিত সিলপটের চা বাগান গুলি, 'শেখ হাসসিনা সরকার  ৩ শত টাকা দরকার' প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এই স্লোগান দিচ্ছে।  

 শ্রীমঙ্গলের লচনা নামক এলাকার ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে চা-শ্রমিকরা। এ সময় বিক্ষোভ মিছিল করে শ্রমিকেরা। চা শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন  গতকাল ০৯ আগষ্ট থেকে ২৫ আগস্ট, বৃহস্পতিবার ১৭  দিন হলো ।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ঢাকা–সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে চা–শ্রমিকদের বিক্ষোভ।তিন দিন আগে তারা লছনায় মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এই নিয়ে ২য় দফায় শ্রীমঙ্গলে সাতগাঁও  লছনায় মহাসড়ক অবরোধ  করা হয় ।  

দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চলমান ধর্মঘটের ১৫তম দিনে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ রেখেছিলো চা-শ্রমিকেরা। এনিয়ে শ্রম অধিদপ্তর শ্রীমঙ্গলে দু দফা, ঢাকা শ্রম অধিদপ্তরে মহা পরিচালক কার্যালয়ে ১ দফা, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১ দফা। মোট চার দফা বৈঠকে সরকারী কর্মকর্তারা ব্যর্থ হয়েছেন।  

গতকাল বুধবার দুপুর ১ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত উপজেলার সাতগাঁও লছনা চা–বাগানের চা কারখানার সামনের মহাসড়কে অবস্থান নেন শ্রমিকরা।

চা শ্রমিক রত্না বাড়াই জানায়,  প্রধামন্ত্রী কি ১৬ দিনেও জানেন না ওনার চা শ্রমিকরা না খেয়ে মাঠে নেমেছে। আমরা ১২০ টাকায় সংসার চালাতে পারি না, তিনি আমাদের দুঃখ, কষ্টের কথা জানেন না। আমরা ওনার দিকে তাকিয়ে আছি আমাদের মজুরি ৩ শত টাকা করতে।  

কর্মসূচিতে সাতগাঁও, দিনারপুর, মির্জাপুর, বৌলাছড়া, বৌলাশী, ক্লোনেল, সাইফ, ইছামতি, মাকড়িছড়াসহ বিভিন্ন চা–বাগানের হাজারের বেশি শ্রমিক সড়কে অবস্থান নিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। এ সময় সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে।গতকালও  শ্রীমঙ্গলের ৩৯টি চা–বাগানের কাজ বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকেরা।

এদিকে সকালে জেরিন চা–বাগানে কাজ শুরু হলেও পরে তাঁরা কাজ বন্ধ করে ফিরে যায় বস্তিতে। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের আন্দোলন এখন আর ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণে নেই। সাধারণ শ্রমিকরা তাদের কাছ থেকে ভরসা হারিয়ে ফেলেছে, তাদের বিশ্বাস করে না। চা শ্রমিকদের শেষ ভরসার স্থল প্রধানমন্ত্রীর।  

বেলা ১ টার দিকে সাতগাঁও চা–বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, চা-শ্রমিকেরা বাগানের নাটমন্দিরের সামনে মহাসড়কে বসে পড়ে কয়েক শত নারী চা শ্রমিক। চলমান চা শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে একটা সমাধান দিবেন প্রধানমন্ত্রী।

সাতগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও চা-শ্রমিক শান্তনা বাড়াইক বলেন, আমরা পেটের দায়ে ১৬ দিন ধরে আন্দোলন করছি। আমার পাশে কোন এমপি মন্ত্রী নেই, তারা ভোটের সময় আসে আর যায়। আজ কই তারা?।  ১২০ টাকায় খাওয়া দাওয়া,কিছুই হয় না। বিভিন্নজন এসে বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নাকি আমাদের কাজ করতে বলেছেন। তিনি নাকি বিদেশ থেকে ফিরে আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন। ডিজিটাল দেশে সরকারের প্রতিনিধির কাছ থেকে মিথ্যা কথা শুনতে হচ্ছে। আমরা টেলিভিশনে দেখছি, প্রধানমন্ত্রী দেশে। তাহলে কেন আমাদের সঙ্গে মিথ্যা বলা হচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে শুনে কাজে ফিরব। তিনি একটা ঘোষণা দিলেই শ্রমিকেরা কাজে ফিরবেন।

খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন, শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম-উর রশিদ তালুকদার, সাতগাঁও ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান মিলন শীল। শ্রমিকদের অনুরোধ করলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image