ডেস্ক রিপোর্টার: চলচ্চিত্র সৃষ্টি করতে পারে নতুন একটি ধারা। তেমনই একটি চলচ্চিত্র 'শ্রাবণ মেঘের দিন' । চলচিত্র জন্ম দিতে পারে একজন তারকার, বদলে দিতে পারে দর্শকের রুচি। বাংলাদেশে সুস্থ রুচির বিনোদনের ধারা প্রাণ ফিরে পায় এ সিনেমাটির মাধ্যমে। মধ্যবিত্ত দর্শককে হলে ফিরিয়ে আনে 'শ্রাবণ মেঘের দিন'।
২০০০ সালের ৩১ শে মার্চ জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের পরিচালনায় সিনেমাটি মুক্তি পায়। তারই লেখা শ্রাবণ মেঘের দিন উপন্যাস অবলম্বনে নূহাশ চলচ্চিত্রের ব্যানারে সিনেমাটি নির্মিত হয়।
এ ছাড়া 'শ্রাবণ মেঘের দিন' অনবদ্য এক প্রেমের উপাখ্যান। এতে উঠে এসেছে গ্রামীণ মানুষের সরলতা, লোকজ নানান সংস্কৃতি। এই গল্পে একজন অহংকারী জমিদার যে কিনা মুক্তিযুদ্ধে রাজাকার ছিল-তার ও নাতনির কথা যেমন বলা হয়েছে; তেমন একজন গায়ক মতি ও গ্রামের সাধারণ মেয়ে কুসুমের ভালোবাসা পাওয়া, না পাওয়ার কষ্ট উঠে এসেছে।
সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু চরিত্রে অভিনয় করেন জাহিদ হাসান, শাওন, মাহফুজ আহমেদ, আনোয়ারা, মুক্তি, গোলাম মোস্তফাসহ আরও অনেকে। শ্রাবণ মেঘের দিন ছবির সংগীত পরিচালনা করেন মকসুদ জামিল মিন্টু। হুমায়ূন আহমেদ তার এই সিনেমায় ময়মনসিংহের লোককবি ও গায়ক উকিল মুন্সীর কয়েকটি গান ব্যবহার করেন। গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন বারী সিদ্দিকী।
এ সিনেমা দিয়েই গীতিকার হিসেবে হুমায়ূন আহমেদের আত্মপ্রকাশ ঘটে। 'শ্রাবণ মেঘের দিন' সিনেমাটি ২৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ,সাতটি শাখায় পুরস্কার লাভ করে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: