
ডেস্ক রিপোর্টার : বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। ১০ দিন আগেও বিক্রি হতো ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। হঠাৎ করে ব্রয়লারের দাম এভাবে বেড়ে যাওয়ায় চার প্রতিষ্ঠানকে তলব করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- কাজী ফার্মস, আফতাব বহুমুখী ফার্মস, সিপি বাংলাদেশ এবং প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি। তাদের কাছে ব্রয়লারের দাম ২০০ টাকার বেশি হওয়ার কারণ জানতে চেয়েছে ভোক্তা অধিদফতর।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে প্রয়োজনীয় তথ্যাদিসহ উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বুধবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ঐ চার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কাছে ব্রয়লারের অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়।
বলা হয়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কর্তৃক গত ৯ মার্চ পোল্ট্রি মুরগি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অধিদফতরের সভাকক্ষে একটি মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। সেই সভায় জানানো হয়, ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন ব্যয় কর্পোরেট পর্যায়ে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা ও প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা পড়ে। সে হিসেবে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির মূল্য ২০০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয় বলে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অবহিত করে।
এ অবস্থায় বাজারে পোল্ট্রি মুরগির অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে প্রয়োজনীয় তথ্যাদিসহ উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
অন্যথায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: