• ঢাকা
  • শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

চিরাং বাজার খাস কালেকশনের নামে চলছে হরিলুট 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ০৭ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:৫২ পিএম
চিরাং বাজার খাস কালেকশনের নামে চলছে হরিলুট 
সাংবাদিক সম্মেলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহজাহান মিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ : নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং বাজারে খাস কালেকশনের নামে সরকারের রাজস্ব হরিলুটের অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহজাহান মিয়া। 

বুধবার (৭ জুন) নান্দাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহজাহান মিয়া উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, উপজেলার চিরাং বাজারটি ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রাচীনতম একটি বিখ্যাত গরুর বাজারসহ সর্ববৃহৎ বাজার হিসাবে পরিচিত। গত বছর ১৪২৯ বাংলা সনে বাজারটির ইজারা দেয়া হয়েছিল ভ্যাট সহ ৯৮ লাখ টাকা। বর্তমানে এই বাজারটির ইজারা কোটি টাকার উপরে। কিন্তু চলতি ১৪৩০ বাংলা সনের বাজারটি ইজারা না দিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ও নেতৃস্থানীয় কিছু কুচক্রী মহলের আতাতের মাধ্যমে বাজারটি খাস কালেকশন শুরু করে। বাজারে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা নামে মাত্র উপস্থিত থাকলেও স্থানীয় সুবিধাভোগীরাই অতিরিক্ত হারে বাজারে টোল আদায় করছে। এ নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ীসহ সকলের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। গত তিন সপ্তাহে তিন হাট বাজারে মাত্র এক লাখ ষাট হাজার টাকা আদায় দেখিয়েছে। অথচ প্রতি বাজারে দুই লক্ষ টাকার উপরে আদায় হয়েছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখ করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহজাহান মিয়া আরও জানান, বর্তমানে এই বাজার থেকে সরকার প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রথম বাজারেই সুবিধাভোগিরা আড়াই লাখ টাকার উপরে টোল আদায় করে। কিন্তু তিন সপ্তাহে তিন হাট বাজারে মার এক লাখ ৬০ হাজার টাকা আদায় দেখিয়েছে। খাস কালেকশনের নামে যেভাবে টাকা আদায় করা হচ্ছে এবং যেভাবে সরকারী তহবিলে জমা দেওয়া হচ্ছে এতে করে বছরে ২৮ লাখ টাকা মত হবে। এতে বছরে সরকার রাজস্ব হারাবে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকার উপরে। চিরাং বাজারে খাস কালেকশনের নামে চলছে ব্যাপক হরিলুট।
  
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত এলাকাবাসীরা জানান, উপজেলা প্রশাসন বর্তমানে যে হারে ইজারার টাকা সরকারী তহবিলে জমা দিচ্ছে তাতে বছরে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার অধিক হবে না। উক্ত ইজারার আয়ের মাধ্যমে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার, চৌকিদার দফাদারদের বেতন সব হাট বাজারের উন্নয়ন কাজ সাধিত হতে। কিন্তু লুটপাটের কালেকশানের মাধ্যমে সরকারে সকল পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে। এলাকাবাসীদের দাবী খাস আদায়ের হরিলুট বাদ দিয়ে উপজেলা প্রশাসনে মাধ্যমে পুনরায় টেন্ডারের মাধ্যমে বাজারটি ডাক প্রদান করা হলো সরকার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করতে সক্ষম হবে। 
 
এ ব্যাপারে বুধবার সেল ফোনে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরি জালালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চিরাং বাজার নিলাম ডাকের জন্য যথা নিয়মে দরপত্র আহবান করা হলেও কোন ব্যক্তি ইজারা ডাকে অংশ গ্রহন করেন নাই । ফলে সরকারী রাজস্ব আদায়ের জন্য খাস আদায় করা হচ্ছে। হাট বাজার ইজারা বিধান মোতাবেক খাস আদায় ছাড়া আর কোন প্রক্রিয়া নাই। বিষয়টি উর্ধবতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image