ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ল্যাম্পিস্কিন ও খুরা রোগে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা আশংকাজনক ভাবে বাড়ছে। ফলে গৃহপালিত এ পশুটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে এখানকার কৃষক। প্রায় প্রতি বাড়িতে দুই-একটি গরু এ রোগে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। রোগের প্রাদুর্ভাব সমগ্র উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ায় আক্রান্ত ও মৃত গরুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের সব এলাকায় কমবেশী ল্যাম্পি ও খুরা রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।
খামারীরা আগে থেকে প্রতিশেধক নেওয়ায় খামারের গরু আক্রান্তের সংখ্যা কম কিন্তু দেশি গরু ও বাছুর আক্রান্তের সংখ্যা বেশী।
কৃষকদের সাথে কথাবলে জানাগেছে, এ রোগে আক্রান্ত গরুর প্রথমে প্রচন্ড জ্বর হয়। নাক ও মুখ দিয়ে লালা ঝড়ে। খাওয়া বাদ দিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। কয়েক দিনের মধ্যে সারা গায়ে গুটি উঠে। গুটি ফুলে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। চামড়া থেকে লোম উঠে যায়। সঠিক চিকিৎসা না পেলে গরু মারা যায়।
উপজেলার বজরেরখামার গ্রামের নাজমা আক্তারের ১টি বিদশী গাভী ও ১টি দেশী গাভী খুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। একই গ্রামের জয়নাল আলীর ১টি ষাঁড় বাছুর খুরা রোগে মারা গেছে। নাজমা আক্তার বলেন, আমার দেশী ও বিদেশী গাভী দুইটি জ্বর আক্রান্ত হওয়ার ৪-৫ দিন পর মারা যায়।
চন্দ্রখানা কুমারপাড়া গ্রামের রতন কাজীর একটি ষাঁড় ল্যাম্পিস্কিনে আক্রান্ত হয়েছে।
রতন জানান, ডাক্তারী ও কবিরাজী চিকিৎসার করার পর গরু সুস্থ হলেও এখনও খুবই দুর্বল। ১টি গরুর চিকিৎসা করতে প্রায় ৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। একই গ্রামের আমজাদ আলী বলেন, এই রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল।
চন্দ্রখানা গ্রামের বাবলু , লিটন ও আ: সামাদের গরু ল্যাম্পিস্কিনে আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসা করার পরেও এই রোগে প্রত্যেকেরই একটি করে গরু মারা গেছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরিফুর রহমান কনক বলেন , রোগাক্রান্ত গরু কেউ উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসে নিয়ে আসলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন কর্মসূচি ও পরামর্শের মাধ্যমে কৃষক ও খামারীদের সচেতন করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আক্রান্ত ৩ শতাধিক গরুর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: