ডেস্ক রিপোর্টার: ডলারের দাম টাকার বিপরীতে ঊর্ধগতিতে বিপাকে দেশের আমদানিকারকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে দাবি উঠছে আমদানিতে নির্ভরশীল দেশের সঙ্গে স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেন প্রচলনের। তবে ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, তড়িৎ সংকট সামাল দিতে আগে ডলারের দামের লাগাম টেনে ধরা উচিত।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আমদানি রপ্তানির দায় মেটাতে সাধারণত ব্যবহার হয় মার্কিন ডলার। তবে করোনা পরবর্তী বিশ্ব পরিস্থিতি ও চলমান রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে চাপে আছে আন্তর্জাতিক এ মুদ্রা। যার দায় চোকাতে হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদেরকেও। বেড়ে যাচ্ছে আমদানি ব্যয়। ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমদানিকারকরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসেই দেশের আমদানি ব্যয় ৬ হাজার ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। শুধু বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২৯৫ টন পণ্য। রেকর্ড সৃষ্টি করা এ আমদানি ব্যয় চাপে ফেলেছে দেশের অর্থনীতিকে। এতে সারা দেশে ডলারের বাজার অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় তাই আমদানি করা দেশের স্থানীয় মুদ্রার সঙ্গে টাকার বিনিময় চান ব্যবসায়ীরা। বিশ্লেষকরাও বলছেন, ডিজিটাল কারেন্সির প্রচলন বাড়ানো গেলে এমন বিকল্প চালু করা সম্ভব।
তবে ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদের মতে, এ ধরণের বিকল্প ব্যবস্থা চালুর জন্য দীর্ঘ মেয়াদি প্রস্তুতি প্রয়োজন। সরকার ডলারের রিজার্ভ যাতে না কমে আসে, সেজন্য বিলাসপণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত করছে। তবে অন্যান্য পণ্য যারা আমদানি করবেন, তাদের বেশি দামে ডলার কিনতে হচ্ছে। আবার একটি পণ্য চালান দেশে আসতে কমপক্ষে তিন মাস সময় লেগে যায়, তখন দেখা যায় ডলারের রেট আরো বেড়েছে। সবদিক দিয়ে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এভাবে ডলার সংকট চলতে থাকলে আগামীতে ব্যবসায়ী বিশেষ করে আমদানিকারকদের পথে বসার উপক্রম হবে।
চলমান সংকট কাটাতে তাই দ্রুত কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বাজারে ডলারের সরবরাহ বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছেন তারা।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: