সোহানুর রহমান সোহান, ( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : ভৈরবে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে উঠেছে অবৈধ পলিথিন কারখানা । আর এসব কারখানায় দিন-রাত অবৈধভাবে পলিথিন উৎপাদন করে বাজারজাত করায় পরিবেশ দূষণ হচ্ছে । স্থানীয়দের দাবী পরিবেশ রক্ষায় সরকার অবৈধ পলিথিন কারখানা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিবে । পলিথিন উৎপাদন বাজারজাত নিষিদ্ধ থাকলেও ভৈরবের কমলপুর, নিউটাউন, আমলাপাড়া, জগন্নাথপুর, ভৈরবপুর, রাণীরবাজারে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে ১৫/১৬টি পলিথিন কারখানা ।
আর এসব কারখানায় প্রতিদিন শতশত মণ উৎপাদিত পলিথিন ভৈরব ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা আশুগঞ্জ,কুলিয়ারচর,বাজিতপুর,অষ্ট্রগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় বিক্রি হচ্ছে । আবার বিভিন্ন দোকান-হাট-বাজার থেকে পাইকারী ও খুচরা দরে পলিথিন কিনে খুচরা দোকানদাররা বিভিন্ন ক্রেতাদেরকে পণ্য সরবরাহ করছে ।আর এভাবে দিনে দিনে পলিথিনের ব্যবহার বাড়ায় সরকার নিষিদ্ধ এসব পলিথিন শহরে ও গ্রামে এমনকি বাড়ির আশে-পাশে সড়কে ড্রেনে বা ডোবায় যত্র-তত্র সড়কের পাশে ময়লার স্তুপে পরিণত হয়ে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে ।
তাছাড়া যেসব জমিতে মাটির নীচে পলিথিন রয়েছে সেসব জমির মাটির উর্বরা শক্তি নষ্ট হয়ে ফলনের বিপর্যয় ঘটে । পরিবেশ রক্ষায় পলিথিন উৎপাদন কারখানা বন্ধ না করলে ভবিষ্যতে পরিবেশ দূষণসহ মারাত্মক হুমকিতে পড়বে জীব-বৈচিত্র । এ বিষয়ে লোকমান মিয়া, সাইফুল ইসলাম ও রনি মিয়াসহ অনেকেই জানান, প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় দিন দিন ভৈরবে পলিথিন কারখানা বেড়ে চলেছে । আর এসব কারখানার উৎপাদিত সরকার নিষিদ্ধ এসব পলিথিন ব্যবহারের পরে শহরে ও গ্রামে এমনকি বাড়ির আশে-পাশে সড়কে ড্রেনে বা ডোবায় যত্র-তত্র সড়কের পাশে ময়লার স্তুপে পরিণত হয়ে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে । তাই পরিবেশ রক্ষায় এসব পলিথিন কারখানা বন্ধের দাবী জানান তারা ।
এ বিষয়ে মালিকদেরকে কারখানায় পাওয়া যায়নি । তবে রোজা প্যাকেজিংয়ের পরিচালক শাহিন জানান,সম্পূর্ন বৈধ কাগজ পত্র না থাকলেও তারা আযকর ও ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে কারখানা পরিচালনা করছেন । এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ জানান, পলিথিন কারখানাগুলো দিনের বেলা বন্ধ রেখে রাতের বেলায় উৎপাদন করা হয় । তবে এসব কারখানায় নিষিদ্ধ পলিথিন বন্ধে অভিযান চালানো হবে এবং কারখানাগুলো সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: