• ঢাকা
  • সোমবার, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ০৫ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

অপ্রচলিত বাজারে বাড়ছে পোশাক রফতানি


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:৪৬ পিএম
অপ্রচলিত এসব বাজারের মধ্যে রয়েছে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, চীন, তুরস্ক, ব্রাজিলসহ কিছু দেশ
বাড়ছে পোশাক রফতানি

নিউজ ডেস্ক:  অপ্রচলিত বাজারে তৈরি পোশাকের রফতানি বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) এ খাতে রফতানি হয়েছে ৭০০ কোটি ডলার। অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রফতানি গত বছরের তুলনায় ৩ শতাংশ বেড়ে ১৮ দশমিক ১৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ প্রবৃদ্ধি শুধু চলতি অর্থবছরের নয়, গত ছয় অর্থবছরের তথ্য বিশ্লেষণ করেও রফতানি বৃদ্ধির চিত্র দেখা গেছে। অপ্রচলিত এসব বাজারের মধ্যে রয়েছে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, চীন, তুরস্ক, ব্রাজিলসহ আরো কিছু দেশ। বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। 

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে চলতি বছর জাপানে ১৩২ কোটি ডলার মূল্যের পোশাক রফতানি হয়, যা অপ্রচলিত অন্য সব বাজারের তুলনায় সর্বোচ্চ। অস্ট্রেলিয়ায় ৯৬ কোটি ডলার, ভারতে ৮৮ কোটি ডলার, চীনে ২১ কোটি ডলার, কোরিয়ায় ৪৭ কোটি ডলার মূল্যের পোশাক রফতানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে বাংলাদেশ থেকে মোট ৩ হাজার ৮৫৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে। এর মধ্যে অপ্রচলিত বাজারে রফতানি হয়েছে ৭০০ কোটি ডলার, যা মোট পোশাক রফতানির ১৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। এর আগের বছর এ খাতে মোট রফতানি হয়েছিল ৩ হাজার ৫৩৬ কোটি ডলার। এর মধ্যে অপ্রচলিত বাজারে রফতানি ছিল ৫৩৫ কোটি ডলার, যা মোট তৈরি পোশাক রফতানির ১৫ দশমিক ১৫ শতাংশ।

গত ছয় অর্থবছর ধরে অপ্রচলিত বাজারে তৈরি পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪৬৭ কোটি ডলারের পোশাক অপ্রচলিত বাজারে রফতানি হয়, যা মোট পোশাক রফতানির ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। পরের অর্থবছরে তা বেড়ে ৫৬৮ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছিল। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪৭৭ কোটি ডলার, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫০৮ কোটি ডলার, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৩৭ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়। চলতি অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই অপ্রচলিত বাজারের আগের রেকর্ড ছাড়িয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে জিএসপিসহ নানা সুবিধা হাতছাড়া হবে। ফলে রফতানিকারকরা নিরুৎসাহিত হতে পারেন। তাই রফতানি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভরসা হতে পারে। অপ্রচলিত বাজারে পণ্য রফতানি বাড়াতে বাংলাদেশী দূতাবাসগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

বিজিএমইএর তথ্যে দেখা যায়, অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে জাপানে ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ৭১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ব্রাজিলে। এছাড়া তুরস্কে ৫৮ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ৫৫ শতাংশ, ভারতে ৫০ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ায় ৩৯ শতাংশ। এদিকে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে রাশিয়ায় ৩৩ শতাংশ ও চিলিতে ১০ শতাংশ। রাশিয়ার বাজারে পোশাক রফতানির হার বরাবরের মতো কমছে। গত অর্থবছর ৫৩ কোটি ডলার রফতানি হলেও চলতি অর্থবছর তা ৩৫ কোটি ডলার রফতানি হয়েছে। 

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘‌নতুন বাজারগুলোতে আমাদের রফতানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বেশকিছু নতুন পণ্য যেমন আউটারওয়্যার ও অ্যাকটিভ ওয়্যারে আমরা পজিটিভ ডেভেলপমেন্ট দেখতে পাচ্ছি। যদিও এসব নন-কটন পণ্যের কাঁচামাল উৎপাদনের দিক থেকে আমরা একেবারে পিছিয়ে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে বর্তমান সরকার বাজার বহুমুখীকরণের জন্য প্রণোদনা দিয়েছিল। এর ফলে অপ্রচলিত বাজারগুলোতে আমাদের পোশাক রফতানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। 

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image