
নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি দশজনের মধ্যে চারজন ইহুদি মনে করেন এক বছর আগের তুলনায় এখন তারা অনেক কম নিরাপদ। এই অবস্থায় একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে হোয়াইট হাউস। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে দিনে গড়ে সাতটি ইহুদি বিদ্বেষী ঘটনা ঘটেছে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সর্বোচ্চ।
২০২২ সালে সংখ্যাটি আরও বেশি হবে বলে আশঙ্কা করছে ইহুদি বিদ্বেষ নিয়ে কাজ করা সংগঠন অ্যান্টি-ডিফামেশন লিগ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, মার্কিন সমাজে ইহুদি বিদ্বেষের কোনো স্থান নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি দশজনের মধ্যে চারজন ইহুদি মনে করেন এক বছর আগের তুলনায় এখন তারা অনেক কম নিরাপদ।যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি দশজনের মধ্যে চারজন ইহুদি মনে করেন এক বছর আগের তুলনায় এখন তারা অনেক কম নিরাপদ।
তার প্রশাসন ২০২২ সালের শেষে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। এর কাজ হবে ইহুদি বিদ্বেষ ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম জাতীয় কৌশলপত্র তৈরি করা। 'আমেরিকান ইহুদি কমিটি' ও হোয়াইট হাউস সম্প্রতি ইউরোপের কয়েকটি দেশের ইহুদি বিদ্বেষ বিষয়ক দূতের কাছে আমেরিকায় ইহুদি বিদ্বেষ সমস্যা দূর করতে পরামর্শ চেয়েছিল।
জার্মানির ইহুদি বিদ্বেষ বিষয়ক কমিশনার ফেলিক্স ক্লাইন জানান, বাকস্বাধীনতা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান বেশ উদার। ইহুদি বিদ্বেষ মোকাবিলায় যা একটি চ্যালেঞ্জ। জার্মানিতে হলোকস্টকে অস্বীকার করলে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল হতে পারে।
আমেরিকান ইহুদি কমিটি' ও হোয়াইট হাউস সম্প্রতি ইউরোপের কয়েকটি দেশের ইহুদি বিদ্বেষ বিষয়ক দূতের কাছে আমেরিকায় ইহুদি বিদ্বেষ সমস্যা দূর করতে পরামর্শ চেয়েছিল।
অস্ট্রিয়ায়ও একই ধরনের আইনের আওতায় লেখক ডেভিড আর্ভিংকে ২০১৯ সালে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এমন উদাহরণের কথা শোনা যায় না বলে জানান ক্লাইন। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় এক সিনাগগে হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছিলেন। এটিই সে দেশে ইহুদি বিদ্বেষ বিষয়ক সবচেয়ে প্রাণঘাতী ঘটনা।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: