• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৩ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ; ২৮ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

নাটোরে সাড়ে ১৫ হাজার কেজি ভেজাল গুড় ধ্বংস


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:২২ পিএম
নাটোরে সাড়ে ১৫ হাজার কেজি
ভেজাল গুড় ধ্বংস

মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুর ও সিংড়া উপজেলায় ভেজালবিরোধী যৌথ অভিযানে ১৫ হাজার ৫০০ কেজি ভেজাল গুড় ও ৩৪ হাজার লিটার চিনির সিরাপ জব্দের পর ধ্বংস করা হয়েছে।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত গুরুদাসপুরের কুমারখালী ও সিংড়ার চকবলরামপুর এলাকায় ওই অভিযান চালানো হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে র‍্যাব।

এসময় ভেজাল গুড় তৈরি, সংরক্ষণ ও বিক্রির অপরাধে ছয় ব্যবসায়ীকে দুই লাখ ৬৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।  

নাটোর র‍্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নাটোরের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান তানভীরের নেতৃত্বে সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প, র‌্যাব-৫ এর একটি দল ওই যৌথ অভিযান চালায়।

এসময় ১৫ হাজার ৫০০ কেজি ভেজাল গুড় ও ৩৪ হাজার লিটার চিনির সিরাপ ধ্বংস করা হয়েছে।

র‍্যাব কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন জানান, গুরুদাসপুরে ভেজাল গুড় তৈরি, সংরক্ষণ, বিক্রি এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনের অপরাধে মেসার্স ভাই ভাই ট্রেডার্সের স্বত্তাধিকারী মো. আব্দুল হান্নান শেখকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া সিংড়ায় সোহেল গুড় ভাণ্ডারের মালিক মো. সোহেল রানাকে ২০ হাজার টাকা, নুরুজ্জামান গুড় ভাণ্ডারের মালিক মো. নুরুজ্জামান ইসলামকে ৩৫ হাজার টাকা, আজহারুল গুড় ভাণ্ডারের মালিক মো. আজহারুল ইসলামকে ২৫ হাজার টাকা, তফিকুল গুড় ভাণ্ডারের মালিক মো. তৌফিকুল ইসলামকে ১৫ হাজার টাকা এবং শাহিন গুড় ভাণ্ডারের মালিক মো. শাহাদৎ হোসেন শাহিনকে ১৯ হাজার জরিমানা করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান তানভীর বলেন, জব্দকৃত ভেজাল আলামত উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে ধ্বংস করা হয়েছে। জরিমানার দুই লাখ ৬৪ হাজার টাকা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “তারা খেজুরের গুড় বলে যে গুড় তৈরি ও বিক্রি করছে তাতে খেজুরের রসের কোনো অস্তিত্ব নাই। “বিভিন্ন জায়গা থেকে চিনির সিরাপ সংগ্রহ করে, শক্ত গুড় ভেঙে সিরাপ ও  নানা রং-কেমিকেল মিশিয়ে আগুনে জ্বাল দিয়ে এক ধরনের দানাদার গুড় তৈরি করে পাত্রতে জমিয়ে খেজুরের গুড় বলে বাজারে বিক্রি করছে এই ভেজাল ব্যবসায়ীরা।“এসব ভেজাল গুড় আবার ওজনেও কম দেওয়া হচ্ছে এবং বাজার মূল্য ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ কোনো কিছুই ঠিক নেই।“

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image