• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বিরামপুরে গৃহবধূ নিখোঁজ থানায় পিতার সাধারণ ডায়েরি


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১১:০৮ এএম
গৃহবধূ নিখোঁজ থানায় পিতার সাধারণ ডায়েরি
নিখোঁজ বেবি আক্তার

রেজওয়ান আলী, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-দিনাজপুর বিরামপুরে গৃহবধূ নিখোঁজ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন মেয়ের পিতা আজমল হোসেন। ১৫ নভেম্বর দিনাজপুর বিরামপুরে গৃহবধূ নিখোঁজ হওয়ায় মেয়ের পিতা স্হানীয় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন যার জিডি নং-৭৪১ তাং-১৫/১১/২০২২ বলে জানা যায়। 

বিরামপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি সূত্র মতে নিখোঁজ বেবি আক্তার বিরামপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কল্যাণপুর মহল্লার আজমল হোসেনের কন্যা। কয়েক বছর পূর্বে উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বিশাগড় মৌজার শিয়ালা গ্রামের মোঃ মকবুল হোসেনের ছেলে মোঃ মেজবাউল ইসলামের সাথে বিবাহ হয়ে থাকে।

অভিযোগ সূত্রে বেবি আক্তারের পিতা আজমল হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার কন্যাকে কয়েক বছর পূর্বে শিয়ালা গ্রামের মেজবাউল ইসলামের সাথে বিবাহ দিয়ে থাকি। এসময় উপটৌকন স্বরুপ তাকে ৫০,০০০/ টাকা সহ অনেক আসবাবপত্র দিয়েছিলাম। বিয়ের পর একটি সন্তান হওয়ার পর হইতে মেজবাউল আমার মেয়েকে সময় অসময় নির্যাতন করে আসছিল। 

এবিষয়ে আমি সহ এলাকার অনেক গন্যমান্য ব্যক্তিরা এই শালিস করে থাকেন। কিন্তু মেজবাউল ইসলামের চরিত্র কোন রকম পরিবর্তন হয় নাই। সে তার পূর্বের আচরণ বরাবরের মতই প্রকাশ পায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩রা নভেম্বর -২০২২ ইং তারিখ আমার মেয়ে জামাই মেজবাউলের বাড়ি থেকে বিরামপুরে ঔষধ নেওয়ার জন্য আসেন। 

আমার মেয়ে উক্ত ঔষধের ৫শত টাকা আমার নিকট থেকে নিয়ে যায়। আমি গত ৬নভেম্বরে লোকমূখে জানতে পারি আমার মেয়ে নাই। আমি বেশ কয়েকবার জামাই মেজবাউল ইসলাম কে মূটোফোনে জানতে চাইলে সে আমার মোবাইল ফোন না ধরে কেটে দেন। কোন রকম উপায় না পেয়ে আমি বাংলাদেশ হিউম্যান রাইট্স এন্ড প্রেস সোসাইটি দিনাজপুর জেলা কমিটি বিরামপুর বরাবর একটি আবেদন করে থাকি। 

এখন পর্যন্ত আমার মেয়ে কে খুঁজে পাই নাই। আমার মেয়ে কে আমার জামাই মেজবাউল ইসলাম নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। সে আমার মেয়েকে কি করেছেন তা আমি জানিনা। 

মেজবাউল হক আমার মেয়ে কে কোথাও গোপন করে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দিওড় ইউনিয়নে বিশাগড় মহল্লায় মেজবাউলের সাথে কথা বললে তিনি উপস্থিত এলাকার জনসাধারণের মাঝে তার শুশুর আজমল মিয়াকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে থাকেন। 

এমন অবস্থায় এলাকার জনসাধারণের নিকট জানা যায়,মেজবাউল ইসলাম একজন আইন অমান্য কারী ব্যক্তি,বরাবরের মত সে তার স্ত্রীর উপর নির্যাতন করে থাকেন।তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ ব্যাবস্হা গ্রহণের দাবি জানান এলাকাবাসী। 

এবিষয়ে বেবি আক্তারের পিতা আজমল হোসেন আইনের মাধ্যমে তার মেয়েকে ফেরত চান বলে জানান।।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image