
রিপন সরকার, খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত রাবার ড্যাম ময়লা, আর্বজনা আর দুর্গন্ধের হাত থেকে স্বেচ্ছাসেবীদের সেবায় কিছুটা সৌন্দর্য ফিরে পেয়েছে।
জানা গেছে শত শত একর চাষযোগ্য ফসলি জমি চাষের আওতায় এবং কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে ২০১৩ সালে পানছড়ি সদর থেকে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে শান্তিপুর এলাকায় চেঙ্গী নদীর বুকে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিলো রাবার ড্যাম। ফলে একদিকে যেমন কৃষকের মুখে স্বস্থির হাসি ফুটেছিলো অন্যদিকে দর্শনার্থীদের চেহারায় দেখা মিলেছে প্রকৃতির সৌন্দর্যের ছাপ।
অথচ বর্তমানে সৌন্দর্য বর্ধনের স্থানে এসে দেখা মিলছে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। রাবার ড্যাম এলাকার পুরো নদী জুড়ে জমে আছে ময়লার ভাগাড়। প্রতিনিয়তই চেঙ্গী নদীতে ফেলা হচ্ছে পানছড়ি বাজারের সকল আবর্জনা। আর সেটি উজানে রূপ নিয়ে রাবার ড্যামকেই ভাটা হিসেবে বেছে নিয়েছে। ফলে দূষিত হচ্ছে নদী, সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে এই জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাটি।
প্রশাসনের নিকট বারবার তাগাদা দেয়া হলে ও ফল মেলেনি গত ৬ মাসে। এদিকে প্রকৃতির এমন বিকৃত রূপে আর সইতে পারেনি একদল স্বেচ্ছাসেবী। ফলে ১০ জন প্রকৃতিপ্রেমী মুহুর্ত্বেই নেমে পড়ে রাবার ড্যামকে পরিচ্ছন্ন করতে। গত শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একটানা সাড়ে ৩ঘন্টা কাজের মধ্য দিয়ে রাবার ড্যামের অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনে সেচ্ছাসেবীরা।
স্বেচ্ছাসেবীরা জানায়, পানছড়ি বাজারের পাশ দিয়েই চেঙ্গী নদী বয়ে যাওয়ায় বাজারের সব আবর্জনা ফেলা হচ্ছে এই নদীতে। আর বাজার থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাবার ড্যাম। ফলে এই আবর্জনাগুলি গিয়ে জমাট বাঁধছে সেখানে। খাগড়াছড়িতে এই রাবারড্যামটি বহুল পরিচিত। প্রতিদিন এখানে দর্শনার্থীরা বেড়াতে আসে। কিন্তু বর্তমানে প্রকৃতির এমন বেহাল দশায় দর্শনার্থীরা আগ্রহ হারাচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও পত্র-পত্রিকায় বারবার এই বিষয়টি জানান দেয়া হলেও গত ৬ মাসেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই আমরা ১০ জন প্রকৃতিপ্রেমী সেচ্ছায় পুরো রাবার ড্যামকে পরিচ্ছন্ন করি। আমরা আশারাখি প্রশাসন এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: