নিউজ ডেস্ক : সংসদীয় আসন ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা- সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন) আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর এ তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিলে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১২ অক্টোবর। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ অক্টোবর এবং ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৫ নভেম্বর।
সংবিধানে কোনো সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষিত হলে ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা আছে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। এরপর গত ১৩ সেপ্টেম্বর সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সংসদীয় আসন ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা- সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন) শূন্য ঘোষণা করা হয়।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৫৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৬৯–১৯৭৫ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার এবং ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তার পিতার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। শিক্ষাজীবনে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: