
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দেশকে বৈশ্বিক মন্দা থেকে বাঁচাতে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়াতে হবে। এলক্ষ্যে রপ্তানি এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে হবে।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ষষ্ঠ সমাবর্তনে অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আজকের স্নাতকরা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী, ধনী ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে জনগণের কল্যাণে কাজ করবেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, দেশের তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে (আইটি) দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করে একবিংশ শতাব্দীর নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বলেন, এই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। প্রাথমিক থেকে উচ্চতর স্তরে সর্বত্রই বিজ্ঞান ও প্রায়োগিক শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। সার্টিফিকেট-সর্বস্ব ও নোট মুখস্ত করার শিক্ষা নয়, বিশ্লেষণধর্মী ও প্রায়োগিক শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।
রাষ্ট্রপ্রধান বিইউপি কর্তৃপক্ষকে গবেষণা কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
ডিগ্রি অর্জনের জন্য স্নাতকদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, শিক্ষা কেবল ডিগ্রি অর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, একজন স্নাতকের আসল সাফল্য নির্ভর করে কীভাবে একজন শিক্ষার্থী ব্যক্তিগত, সামগ্রিক এবং পেশাগত জীবনে এর সুবিধা নিতে পারে তার ওপর।
২০০৮ সালে ৩১তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর বিউপি থেকে ইতোধ্যে ২৯ হাজার ৮৯২ জন স্নাতক সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন।ষষ্ঠ সমাবর্তনে ৩৬ স্নাতক ডিগ্রিধারীকে ‘চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক’ এবং আরো ২৯ জনকে ‘ভাইস-চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক’প্রদান করা হয়।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এম আর
আপনার মতামত লিখুন: