ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ৮ দিন বন্ধ থাকার পর কাজে যোগ দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানাসহ জেলার ৯ থানার পুলিশ। পাশাপাশি ৯ থানার অধীনে সবগুলো ইউনিটে (ফাঁড়ি) একযোগে পুলিশিং সেবা শুরু হয়েছে।
সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় সোমবার সকাল থেকে থানাগুলোতে সেবা প্রার্থীদের জিডি, মামলাসহ সব ধরনের আইনগত সহায়তা দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় পুলিশিং প্যাট্রোলিংও শুরু হয়েছে।
এছাড়াও ট্রাফিক পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও আখাউড়া স্থলবন্দরে পুলিশ সদস্যরা কাজে যোগ দিয়েছেন। সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে শহরের গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টগুলোতে কাজ করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। তাঁদের সহযোগিতা করছেন বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সদর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট দুপুর দেড়টার দিকে প্রথম দফায়, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে দ্বিতীয় দফায় এবং সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তৃতীয় দফায় বিক্ষোভকারীরা সদর থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এক পর্যায়ে থানায় ব্যাপক লুটপাট হয়।
৫ আগস্ট রাত পৌনে নয়টার দিকে সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় পুলিশ সদস্যরা সদর থানা ত্যাগ করে। এরপর সোমবার সকালে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা কাজে যোগ দেন।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, সদর থানায় বসার চেয়ার-টেবিলসহ লজেস্টিক কোনো সাপোর্ট নেই। তারপরও আমরা কাজে যোগ দিয়েছি। ৮৮ জন পুলিশ সদস্য সোমবার থেকে কাজে ফিরেছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় জেলার সকল থানা ও বন্দর থানায় পুলিশ সদস্যরা কাজে ফিরেছেন। পুলিশ সদস্যদের সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: