
ডেস্ক রিপোর্টার: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যারা মানবাধিকার লংঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কী ব্যবস্থা নেয় তা দেখতে হবে। পুলিশ প্রধান, র্যাব প্রধানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার জবাব জনগণকে দিতে হবে। এই নিষেধাজ্ঞা বিএনপির এত দিনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগকে প্রমাণ করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, র্যাব কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অবধারিত পরিণতি। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে এত দিনের মানবাধিকার হরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। দেশকে লজ্জার মধ্যে ফেলে দিয়েছে সরকার।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ডিআরইউ'তে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিরাজনীতিকরণের অংশ হিসেবেই বিএনপি চেয়ারম্যান খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার চক্রান্ত শুরু। খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিত মামলায় সাজা দিয়ে আটকে রেখেছে সরকার। তাকে চিকিৎসা না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে রাজনীতিকে নিষ্কন্টক করার জন্য।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের সবচেয়ে বড় অপরাধ হলো দেশের সংবিধানকে বিসর্জন দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমে সুক্ষ্মভাবে কাজ করা রাজনৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করা হয়েছে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে। সংসদ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। সরকারের সব প্রতিষ্ঠান যেমন খুশি লুটপাট করছে কারণ দেশে গণতন্ত্র নেই।
দেশের জনগণ বিশ্বাস করে বিএনপির রাজনীতি জনগণের রাজনীতি। সরকার জনগণ থেকে যোজন যোজন দূরে সরে গেছে। তাদের সঙ্গে জনগণের কোনও সম্পর্ক নেই। সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জনগণকে রাজপথে নামিয়ে ভয়াবহ এই সরকারকে সরাতে হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: