• ঢাকা
  • শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

অধ্যাপক তাহের হত্যার ২ আসামির ফাঁসি ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১২:০৩ পিএম
অধ্যাপক তাহের হত্যার ২ আসামির ফাঁসি স্থগিত
রাবি'র ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের

নিউজ ডেস্ক : রাবি'র ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড আগামী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের করা এক আবেদনের শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি বোরহান উদ্দিন এ আদেশ দেন।

এ সময় আদালত জানান, এ সময়ের মধ্যে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা যাবে না। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের ওপর রিভিউ শুনানি হবে আগামী ১৭ নভেম্বর।

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ।

রায় প্রকাশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ড. তাহের হত্যা ছিল ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো। এর মাধ্যমে অন্যদের কাছেও বার্তা যাবে যে, এ ধরনের জঘন্য অপরাধীদের ছাড় নেই।

ড. এস তাহেরের স্ত্রী সুলতানা আহমেদ বলেন, ১৬ বছর ধরে অপেক্ষা করছি। আপিল বিভাগ আসামিদের সাজা বহাল রেখেছেন। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। দ্রুত এ রায় কার্যকরের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করছি। রায় কার্যকর হলে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হব।

অধ্যাপক ড. তাহের হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুতবিচার আদালত চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে বেকসুর খালাস দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়।

২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল হাইকোর্ট দুই আসামির ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখেন এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধেও আসামিরা আপিল করেন। পরে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক ড. তাহেরের মরদেহ। এর দুই দিন পর ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image