• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

হারিয়ে যেতে বসেছে বাংলার লোকসংস্কৃতি পুতুল নাচ


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ০৫ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:২১ এএম
হারিয়ে যেতে বসেছে
বাংলার লোকসংস্কৃতি পুতুল নাচ

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি: পাশ্চাত্য সংস্কৃতির যাঁতাকলে পড়ে, ঘরে ঘরে বোকা বাক্স ও অত্যাধুনিক মোবাইল সহজেই হাতের নাগালে আসায় আমরা গ্রামবাংলার সুপ্রাচীন ঐতিহ্যকে হারিয়ে যেতে বসেছে। বাংলার একদা প্রাচীন লোকসংস্কৃতির বিনোদন মাধ্যম গুলোর একটি হলো পুতুল নাচ এক সময় লোক শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে খুবই জনপ্রিয় ছিল। গ্রাম বাংলার বিভিন্ন মেলা, উৎসবে বসত এই পুতুল নাচ। তবে আজ আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর বিনোদনের জগতে লুপ্ত হতে বসেছে বাংলার এই লোকসংস্কৃতি। অভাবের তাড়নায় বহু শিল্পী এই কাজ ছেড়ে দিয়েছেন, গ্রাম বাংলার মনোরঞ্জনের প্রধান উৎস পুতুল নাচ। 

কবির কবিতায় কলমে ফুটে উঠত পুতুল নাচের ইতিকথা। যদিও তা আজ ইতিহাসে পরিণত হতে বসেছে। গ্রাম বাংলার সুপ্রাচীন ঐতিহ্য পুতুল নাচের সংস্কৃতি ধরে রাখতে জামালপুরের ইসলামপুর সরদার পাড়া এলাকায় অনুষ্ঠিত হল গ্রামীণ ঐতিহ্য পুতুল নাচ।

আধুনিক সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কচিকাঁচারা যখন মোবাইলের ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ ইউটিউব খুলে সময় কাটাচ্ছে, মনের বিকাশ যেমন প্রতিহত হচ্ছে, শিশুমন মোবাইলের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে একটা জায়গায় সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে, ফলে, মানসিক ও শারীরিক জীবনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিশুদের মন। ঠিক এসময়  হারিয়ে যাওয়া পুতুল নাচের আসরে শৈশব কিশোর মনের বিকাশ ঘটানোর মূল লক্ষ্যে দেখা গেল মেলা প্রাঙ্গণে।

গ্রাম্য মেলা আর গ্রাম্য মেলা মানেই পুতুল নাচ। গানের তালে তালে ঐতিহ্যবাহী ঘটনার সঙ্গে বাদ্যযন্ত্র ও সুরের মূর্ছনায় পুতুলের নৃত্য। এই পুতুল নাচ দেখতে গ্রামবাংলার কচিকাঁচারা ভিড় জমিয়েছে।

শিল্পীরা বলেন, এখন এই শিল্পের সঙ্গে কেউ আসতে চাইছে না। অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। মোবাইলের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে মানুষ, যত সময় যাচ্ছে ততই গ্রাম বাংলার এই শিল্প সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে। এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে আমাদের সরকারি সাহায্যের প্রয়োজন।
পুতুল নাচ শিল্পি রাখাল বসাক জানান,পুতুল নাচ ছিল আমার পেশা,এখন আগের বিনোদন আনন্দ ফুর্কি নাই। তাই এসব ছেড়ে দিয়েছি। যদি থাকতো তাহলে দিনপাত আমাদদের ভাল চলতো। টাকা পয়সাও থাকতো। আজ পেশাটি নাই বিদায় কস্টে দিনযাপন করছি। 

মালিক বাঁধন জানান পুতুল নাচের বিনোদন বিলুপ্তির পথে। আমার এ পুতুল নাচ চালিয়ে চার পাঁচটি পরিবারের সংসার চলে। সরকার যদি আমাদের দিকে নজর দিতো,আমাদের এ পেশার মানুষদের সন্তান নিয়ে সুন্দর জীবন যাপন করতে পারবে।

এই পুতুলনাচ দেখতে এসে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘অনেকদিন পরে পুতুল নাচ দেখতে পেয়ে ভালো লাগছে। মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছি,আজ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য পুতুল নাচ দেখে খুব ভাল লাগলো।

অধ্যক্ষ আঃ খালেক আখন্দ বলেন,আমরা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে জারিয়ে যেতে বসেছি,এসব যদি থাকতো তাহলে যুব সমাজ অনৌদিকে ধাবিত কম হতো। আমাদের সকলের এই ঐতিহ্য বিনোদন ধরে রাখার দরকার। তাহলে সমাজ উপকৃত হবে।
 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image