
নিউজ ডেস্ক : অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, দুর্নীতির মামলায় পলাতক হওয়ায় লন্ডনে বসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের আইনি লড়াইয়ের সুযোগ নেই।
বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ ছাড়া যুক্তরাজ্যে বসে আইনি লড়াইয়ের সুযোগ আছে কি না - সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সোমবার (১০ এপ্রিল) একথা জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশে ফিরে আত্মসমর্পণ না করলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী পলাতক ধরে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচারকাজ চলতে আইনগত কোনো বাধা নেই। পলাতক আসামিদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করে আইনি লড়াইয়ের কোনো বিধানও নেই বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।
রোববার (৯ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার তারেক রহমানের আইনজীবীদের করা এক আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ বিষয়ে আদেশের জন্য ওইদিন ধার্য করেছেন।
তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেছেন, দেশের প্রচলিত আইনে এর কোনো সুযোগ নেই। জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় তারেক রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন। মামলার বাকি দুই আসামি তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমান ও তার মা ইকবাল মান্দ বানু। ২০০৮ সালে তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়।
তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ৩০ জানুয়ারি তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে আদালতে হাজির হতে বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয় থেকে গেজেট প্রকাশ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান।
গেজেটে বলা হয়েছে, তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।আদালতের বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেফতার ও বিচার এড়ানোর জন্য আত্মগোপনে রয়েছেন। সেহেতু তাদের আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পাদন করা হবে।
গত বছরের ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: