• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ০৮ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বীরপ্রতীক তারামন বিবির মৃত্যুবার্ষিকী


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ০১ ডিসেম্বর, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ, ১২:১৬ পিএম
বীরপ্রতীক তারামন বিবির মৃত্যুবার্ষিকী
বীরপ্রতীক তারামন বিবি

ডেস্ক রিপোর্টার: বীরপ্রতীক তারামন বিবির তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার (১ ডিসেম্বর)। বিগত ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলা সদরের কাচারীপাড়া এলাকায় অবস্থিত নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন তিনি। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কাচারীপাড়া এলাকার বাড়িতে কোরানখানি এবং মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারামন বিবির একমাত্র ছেলে তাহের আলী।

ব্যাপারীপাড়া এলাকায় অবস্থিত উত্তরবঙ্গ জাদুঘরের আয়োজনে জাদুঘর চত্বরে বীর প্রতীক তারামন বিবির মৃত্যুবার্ষিকী পালনে সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্বলন এবং স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠাতা এসএম আব্রাহাম লিংকন।

বীর প্রতীক তারামন বিবি ছিলেন কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের শংকর মাধবপুর গ্রামের প্রয়াত আব্দুস সোবহানের সাত ছেলেমেয়ের মধ্যে তৃতীয়। তিনি লেখাপড়ার কোন সুযোগ পাননি। অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন। এ অবস্থায় ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজিবপুর এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রান্না করতেন ১৪ বছর বয়সী তারামন। রান্না করতে করতে অস্ত্র চালাতে শেখেন। তারপর রান্নার খুন্তি ফেলে রাইফেল হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে অংশ নেন।

মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়া হলেও সে কথা তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর জানতে পারেননি।

ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বিমল কান্তি দে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান আলী এবং রাজিবপুর কলেজের সহকারি অধ্যাপক আব্দুস সবুর ফারুকীর সহায়তায় তাকে খুঁজে বের করেন। এরপর ১৯৯৫ সালের শেষ দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে বীরপ্রতীক খেতাবের পদক তুলে দেওয়া হয়েছিল।

মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্তদের মধ্যে মাত্র দু'জন নারী রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন তারামন বিবি। তারামন বিবির স্বামী আব্দুল মজিদ বিগত ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image