বিরামপুর প্রতিনিধি, দিনাজপুর: সুস্বাদু তালশাঁস খেতে বাজারে সাধারণ মানুষের ভিড়। জেলার বিরামপুর বাজারে উঠতে শুরু হয়েছে তালশাঁস খাওয়ার ধুম। সুস্বাদু তালশাঁস খেতে বাজারে ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এই বছরে তালশাঁসের দাম অনেকটা বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতারা গণের।
এবিষয়ে বিক্রেতারা জানান,উৎপাদন কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। রোববার (২৯ মে) ১২ ঘটিকার সময় বাজার ঘুরে দেখা যায় যে,উপজেলার সোনালী ব্যাংকের সামনে মোকসেদ আলী নামের এক ব্যবসায়ি অল্প কিছু তাল নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। মৌসুমের শুরুতে তাই অল্প তাল বাজারজাত চিত্র চোখে পড়ে।
তবে অল্প তালের ক্রেতা বেশি,তাই তিনি তাল কেটে শাঁস বেড় করতে ব্যস্ত। মোকসেদ আরও বলেন বলেন,এবার তালের ফলন অনেকটাই কম। গেলো বছর ৫০ থেকে ২৫০ টাকা দিয়ে তাল গাছ ক্রয় করেছেন। তবে বর্তমান গাছের দাম আগের মতোই আছে,কিন্তু ফলন অনেক কম। যার কারণে তালশাঁসের দাম। গত বছর প্রতিটি তাল শাঁস প্রতি পিচ বিক্রি করেছিলাম ৫-৬ টাকা।
এ বছর বিক্রি করছি ৭-৮ টাকা দরে। এক সময় গ্রামগঞ্জের মাঠে-ঘাটে আর রাস্তার পাশে দেখা তালের গাছ। এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। আগের দিনে মানুষ তালের শাঁস কিনে খেতো কম,কেননা হাতের নাগালেই পাওয়া যেতো। এখন সেই তাল টাকার বিনিময়ে কিনে খেতে হচ্ছে। কথা হয় তালশাঁস ক্রেতা আসা রফিকুল এর সাথে তিনি বলেন,তালের শাঁস স্বাদে ভরা খুব সুস্বাদু।
আমার পরিবারের সবার পছন্দ,তাই তালশাঁস কিনতে এসেছি। দাম অনেক বেশি,পরিবারের জন্য ১০টির অর্ডার দিয়েছি। অপর ক্রেতা সোহেল বলেন,অন্যান্য ফলের চেয়ে তালশাঁসের স্বাদ আলাদা। প্রতি বছর তাল উঠলে আমি প্রতিদিন ৩থেকে ৫টা করে তালশাঁস খেয়ে থাকি। তাল ব্যবসায়ী মোকসেদ বলেন,সূদুর তিলকপুর থেকে তাল নিয়ে বিরামপুর বাজারে এসেছি।
প্রায় ১০ বছর ধরে এই তালশাঁসের ব্যবসা করছি। গত কয়েক বছর ধরে বিরামপুর বিভিন্ন স্থানে তালশাঁস বিক্রি করি। মৌসুমি ফল তালশাঁস আজ প্রথম বিরামপুরে আনলাম। বেশি আনিনি, অল্প করে এনেছি। সবাই কেনার জন্য আসছে,তবে দাম বেশি হওয়াতে কম ক্রয় করছে বলে জানা যায়।।
ঢাকানিউজ২৪.কম / রেজওয়ান আলী/কেএন
আপনার মতামত লিখুন: