
সুমন দত্ত :
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার অনুমতি এখনও পাননি।বৃহস্পতিবার (০৯ মার্চ) সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেন তার পরিবারের সদস্যরা। সে আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে আইন মন্ত্রনালয় পাঠানোর কথা থাকলেও এখনও সেই ফাইল আসেনি। এ কারণে খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ বৃদ্ধি হবে কি, হবে না, কিংবা তিনি বিদেশে যেতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যেদিন সিদ্ধান্ত হবে সেদিন সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে গণমাধ্যমে জানানো হবে বলে আইন মন্ত্রী জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার সোমবার (৬ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ আবেদন করেন। খালেদা জিয়ার পরিবারের এক সদস্য ৭ মার্চ বিষয়ট নিশ্চিত করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের জানান, আবেদনটি তিনি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। আইন মন্ত্রণালয় মতামত দেয়ার পর আবেদনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন, যা আজ আইন মন্ত্রণালয় জানালো।
গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ (ষষ্ঠ দফা) ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চলতি মাসের ২৪ মার্চ শেষ হচ্ছে তার মুক্তির মেয়াদকাল।
২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বরে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ষষ্ঠ দফা তা বাড়ানোর আবেদন করেছিল খালেদা জিয়ার পরিবার।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়।
সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবরণের পর সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া প্রায় চার বছর ধরে গুলশানে নিজ বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। ৭৭ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: