• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

টার্মিনাল ফাঁকা, শহরে থামে গাড়ির চাকা 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১২:৪৮ পিএম
শহরে থামে গাড়ির চাকা 
চুয়াডাঙ্গা বাস টার্মিনাল

শেখ লিটন, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গায় দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে বাস টার্মিনাল । দিন দিন বাস টার্মিনালটি অকেজো হয়ে পরেছে । বাস টার্মিনাল দীর্ঘ বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে । বছরের পর বছর ধরে প্রশাসন থেকে নেই কোনো সংস্কারও সংরক্ষণ। এতে বাস টার্মিনালটি এখন আর ব্যবহার হয় না। এতে ভোগান্তি ও দুর্ভোগে পরেছে চুয়াডাঙ্গাবাসী। 

জানা যায়, ১৯৯৩-৯৪ সালে পৌর বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হয় । টার্মিনালটি চালু হওয়ার পর থেকে কোনো সংস্কার হয়নি । বাস টার্মিনাল চালু হওয়ার পর গড়ে উঠেছিল বেশ কিছু বাস কাউন্টার । টার্মিনাল শহর থেকে দুরে হওয়ার কারণে বাস টার্মিনালে লোক সমাগম কমে যাওয়াতে হাতেগোনা কয়েকটি এখন বাস কাউন্টার আছে। বাকি কাউন্টারের কক্ষ গুলোতে এখন ভূত বসবাস করছে । বাস টার্মিনালটি বন্ধ হওয়াতে শহরের ওপর দিয়ে  যেখানে সেখানে যত্রতত্র করে বাস যাত্রি ওঠানামা করা হয় ।

বিশেষ করে দেখা যায় এমন দৃশ্য চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের চৌরাস্তা মোড় ।  এতে ভোগান্তির শিকার হয় সাধারণ মানুষ । এছাড়াও  মহাসড়কের পাশে একাধিক ভাবে গড়ে উঠেছে বাস টিকিট কাউন্টার । এতে চলাচলের সময় সাধারণ মানুষের পরতে হয় নানা দুর্ভোগে । কখনো কখনো আবার যেখানে সেখানে বাস থামাতে শহরে যানজটের সৃিষ্ট হয় । বাস টার্মিনাল বন্ধ হওয়াতে টার্মিনালের অনেক ঘরের মালামাল চুরি হয়ে গিয়েছে । শহরের উন্নয়ন ও যোগাযোগের ব্যবস্থা করার জন্য টার্মিনালটি পুরোদমে চালুর দাবি স্থানীয় দের । 

চুয়াডাঙ্গা পৌর কর্তৃপক্ষ জানান, ২৮ বছর আগে  চুয়াডাঙ্গায় ৯৪ সালের দিকে সে সময়ের পৌরসভার চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম বাস টার্মিনালটি নির্মাণ করা হয় । টার্মিনাল ছোটো বড় শতাধিক দোকান ছিল । টার্মিনালে লোক সমাগম কম হওয়ার সব দোকান বন্ধ হয়ে যায় হাতে গোনা মাত্র ৮-১০ টি দোকান খোলা আছে । 

বাকি দোকানগুলো সবই জরার্জীণ হয়ে পরেছে । তখন বাস ও ট্রাক শ্রমিকের কার্যালয় ছিল , শ্রমিকের সু-ব্যবস্থা করার জন্য । কিন্তু এখন শ্রমিকের কার্যালয় বিলীন হয় গেছে। এদিকে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে ,পুরনো টার্মিনালটির জায়গা অনেক ছোটো, যার কারণে নতুন করে টার্মিনাল করার জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হচ্ছে । তারপর পুরোদমে টার্মিনাল চালু হবে ।

এলাকাবাসীর দাবি করে বলেন, নতুন  টার্মিনাল নির্মাণ করার আগে । পুরনো টার্মিনালটি নতুন রুপে সংস্কার করে চালুর দাবি স্থানীয়দের ।  

এসময় কথা হয় টার্মিনালে আসা এক বেসরকারী কর্মকর্তা হোসেন তিনি এ প্রতিবেদকে বলেন, যদি বাস কাউন্টারটি টার্মিনালে থাকতো । তাহলে সড়কে যানজট হতো না। মানুষ নির্বিগ্নে চলাচল করতে পারত । 

কথা হয় পথচারি কাসেমের সাথে তিনি বলেন , টার্মিনালটি না ব্যবহার ও সেখানে বাস কাউন্টার না থাকাতে শহরের যেখানে সেখানে কাউন্টার গড়ে  উঠেছে। এতে শহরের জায়গা হয়ে যায় সল্পতা । প্রতিটা সময় সৃষ্টি হয় যানজট , ঘটে ছোট বড় সড়ক দূর্ঘটনা । 

কথা হয় টার্মিনালে আসা এক ভদ্র লোকের সাথে নাম পরিচয় গোপন করে  বলেন , টার্মিনালটি যদি নতুন রুপে চালু হয় । তাহলে টার্মিনালে লোক সমাগম  বেশি দেখা যাবে। এতে টার্মিনালের প্রাণউচ্ছলটা ফিরে পাবে । 

এবিষয় কথা হয় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র , জাহাঙ্গির মালিক খোকন বলেন , আধুনিক টার্মিনাল করার জন্য একটা প্রজেক্ট করা হয়েছে । পুরনো টার্মিনাল সংস্কার করে , শহরে গড়ে  উঠবে নতুন আধুনিক টার্মিনাল ।  

টার্মিনাল চালুর জন্য ও শহরে বাস চলাচল শৃঙ্খলা করার জন্য বাস ট্রাক মালিক সমিতিদের সাথে পরার্মশ চলছে বলে জানালেন, চুয়াডাঙ্গার উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শামিম ভ‚ইয়া বলেন, টার্মিনাল ব্যবহার না হওয়ার প্রধান কারণ ট্রেন ক্রসিং পরলে টার্মিনালে যাওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় । টার্মিনাল নতুন করে চালুর জন্য বিকল্প পদ্ধতি করছি । সবাই যদি সচেতন হয় টার্মিনালটি পুরোদমে চালু করার যাবে ।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image