
নিউজ ডেস্ক: যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কবির সমাধি সৌধে শনিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, নজরুলচর্চাকেন্দ্রিক বিভিন্ন সংগঠন, দেশের প্রধান রাজনৈতিক সংগঠনগুলোসহ ব্যক্তিপর্যায় থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা জানাতে আসা ব্যক্তিরা সৌধে ফুল দেওয়ার পাশাপাশি প্রাঙ্গণে আবৃতি, গান, কবির স্মৃতিচারণাসহ বিভিন্ন পরিবেশনা করেন।
সকাল নয়টার দিকে আওয়ামী লীগের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনও শ্রদ্ধা জানায়।
সকাল সাতটার দিকে বিএনপির পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সমাধি প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রভোস্ট, বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাধিতে শ্রদ্ধা জানায় কবি পরিবার, বাসদ (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বাংলা একাডেমি, নজরুল ইনস্টিটিউট, বাঁশরী নজরুল চর্চা কেন্দ্রসহ নানা সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। তিনি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করেন এবং ধানমণ্ডিতে কবির জন্য একটি বাড়ি প্রদান করেন।
১৯৭৬ সালের ২৭ আগস্ট (১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্র) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: