নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে টিকার চতুর্থ ডোজ বা দ্বিতীয় ডোজ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত ৭ লাখ ৪ হাজার ৭৪৯ জন টিকার চতুর্থ ডোজ পেয়েছেন।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত করোনার টিকাদান বিষয়ক বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, সারাদেশে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে ৪১ হাজার ৬৪৭ জনকে। এছাড়া দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৬৬ জনকে এবং বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৫৪ হাজার ২৮৩ জনকে। আর দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ পেয়েছে ৩০ হাজার ২৭২ জন।
দেশে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে টিকা কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজের আওতায় এসেছেন ১৫ কোটি ২ লাখ ১৯ হাজার ৪ জন। এছাড়া দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ১৩ কোটি ১৭ লাখ ২০ হাজার ৭২১ জন। আর বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটি ৫৭ লাখ ১১ হাজার ৭৭৬ জন। পাশাপাশি দ্বিতীয় বুস্টার বা চতুর্থ ডোজ পেয়েছে ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৪ জন।
উল্লেখ্য,২০২১ সালের ১ নভেম্বর থেকে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, দেশে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৪ লাখ ৮ হাজার ৮৬৬ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে এক কোটি ৬২ লাখ ৩২ হাজার ২৯৫ জন। ২৬৯ শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছে এক হাজার ৭৫৫ জন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৮৭ লাখ ৮৭ হাজার ৩৪৬ জনকে করোনা প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় ফাইজারের বিশেষ এই টিকার ডোজ পেয়েছে ৩৯ হাজার ৫৫ শিশু। আর এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ৭৫ লাখ ১৬ হাজার ৯৫৩ জন। পাশাপাশি গত একদিনে টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৬৬ শিশু।
এছাড়াও দেশে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৮১ হাজার ৫৪২ জন ভাসমান জনগোষ্ঠীর মানুষ টিকার আওতায় এসেছেন। তাদের জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ২৬ হাজার ৩২০ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এম আর
আপনার মতামত লিখুন: