নিউজ ডেস্ক : প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে প্রায়শই 'সর্বভারতীয়' দাবি উত্থাপন করে উপমহাদেশে রাজনৈতিক উস্কানি ও অস্থিরতা সৃষ্টির প্রেক্ষিতে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব গণমাধ্যমে নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেন।
ইতিহাসের 'ভূ রাজনৈতিক' বিবেচনায় এ অঞ্চল কয়েক হাজার বছর ধরে অসংগঠিত শক্তি হিসেবে বিচ্ছিন্ন অবস্থানে পতিত ছিল।
রাজনৈতিক সঞ্চালনশীলতা ও ঐতিহাসিক অনিবার্যতায় উপমহাদেশে জাতিরাষ্ট্র বা রাষ্ট্রসমূহ প্রতিষ্ঠার কারণে এ অঞ্চল অতীতের বিচ্ছিন্নতাকে অতিক্রম করে দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সংযোগ ও অন্যতম শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
ইতিহাস পর্যবেক্ষণ এবং পুনঃপরীক্ষা করে দেখা যায় দক্ষিণ এশিয়ায় আত্মসত্তার রাজনীতিতে ভারত, পাকিস্তান এবং মুক্তি সংগ্রাম ও রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ 'জাতিরাষ্ট্র' হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সর্বভারতের দাবি অপ্রাসঙ্গিক ও বাস্তবতা বিবর্জিত হয়ে পড়েছে।
বিশ্ব রাজনৈতিক দৃশ্যপটে ভূ-রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সমরনীতির প্রেক্ষিতে এ অঞ্চলে আঞ্চলিক বা উপ আঞ্চলিক জোট গঠন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
উপমহাদেশের প্রতিটি রাষ্ট্র ভূ অর্থনৈতিক ও ভূ সাংস্কৃতিক দিক দিয়েও পরস্পর সংলগ্ন। সুতরাং আঞ্চলিক ও উপ আঞ্চলিক জোট গঠন করেই প্রতিটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং নৃতাত্ত্বিক সাংস্কৃতিক বিকাশ জোরদার হতে পারে।
'দক্ষিণ এশিয়া' ও 'দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া'য় সংযোগ সড়ক, গ্যাস, বিদ্যুৎশক্তি ও পানি সম্পদের উপর ভিত্তি করে উপ আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট গঠন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ অঞ্চলের প্রত্যেকটি রাষ্ট্র তার আঞ্চলিক অখন্ডতা ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অক্ষূন্ন রেখেই উপ আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট গঠন করতে পারে। এ অঞ্চলের ভবিষ্যৎ আর্থিক উন্নতি, দারিদ্র বিমোচন, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সংহতি আঞ্চলিক বা উপ আঞ্চলিক সহযোগিতার উপর নির্ভরশীল।
এ লক্ষ্যেই সর্ব ভারতীয় দাবি উত্থাপন করে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় বিরোধ উসকে দেয়ার পাঁয়তারা থেকে সকল পক্ষকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: