
জাহিদুল হক মনির, শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের চকপাঠক এলাকার খামারবাড়ি প্রশিক্ষণ হলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, শেরপুর জেলা কার্যালয় এই কর্মশালার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ।
এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন শেরপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহিত কুমার দে।
কর্মশালায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প সম্পর্কে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খামারবাড়ি, ঢাকার প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান।
পরে বক্তব্য দেন জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা সালমা আক্তার, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, জামালপুরের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রজব আলী, ঝিনাইগাতীর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর, নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম, আদর্শ কৃষক নূরে আলম সিদ্দিক, গণমাধ্যমকর্মী হাকিম বাবুল প্রমুখ।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি অতিরিক্ত পরিচালক আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘ধান ও সবজি উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। এই উৎপাদনের ধারাবহিকতা আরো বাড়ানোর জন্য আমাদের ফসলের বৈচিত্র্য আনতে হবে। আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। ধানের পাশাপাশি সবজি উৎপাদনকেও গুরুত্ব দিতে হবে।
এ জন্য মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবিত ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করতে হবে। আর নিরাপদ খাদ্যের জন্য রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সারের ব্যবহার বাড়াতে হবে। এসব কাজে কৃষকদের সচেতন করতে কৃষি বিভাগের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে আমাদের দেশ খাদ্য উৎপাদনে বিশ্বের অন্যতম সেরা দেশ হিসেবে পরিনত হবে।’
কর্মশালায় জেলার কৃষি বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, কিষাণ-কিষাণি, জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীসহ ৭৫ জন প্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / জাহিদুল হক মনির
আপনার মতামত লিখুন: