• ঢাকা
  • শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ঢাকায় ডেঙ্গুর ভয়াবহ রুপ নেওয়ার সম্ভাবনা


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ১১ মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০১:০৭ পিএম
ডেঙ্গুর ভয়াবহ রুপ
এডিস মশা

ডেস্ক রিপোর্টার: গত ২৪ ঘণ্টায়  দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দুইজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তারা দুইজনই ঢাকার বাসিন্দা। তবে এ সময়ে ঢাকার বাইরের কোনো হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত কোনো রোগী ভর্তি হয়নি। ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক জরিপে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ২২টি ওয়ার্ডে বিভিন্ন মাত্রার ঝুঁকি চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব এলাকার মশা নিয়ন্ত্রণে অভিযান শুরু করেছে দুই সিটি করপোরেশন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত হাসপাতালে সর্বমোট রোগী ভর্তি ছিলেন ১৮৮ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছিলেন ১৮১ জন।

এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কোনো মৃত্যু নেই। ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে। সেই বছর এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। মারা যান ১৪৮ জন। করোনা মহামারীর মধ্যে ২০২০ সালে ডেঙ্গু তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে কিছুটা উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করে ডেঙ্গু।

ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা জানান, আসন্ন বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই ঢাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশা নির্মূলে ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলোতে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। শুধু সিটি করপোরেশনের উপর নির্ভর হয়ে থাকলে চলবে না। নিজ নিজ জায়গা থেকে সকলকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে।

১০ই মে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন দু’জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট আটজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ছয়জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন দু’জন।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ঢাকায় ৯৪ দশমিক ৯ শতাংশ কিউলেক্স মশা আর বাকি ৫ দশমিক ১ শতাংশ এডিস মশা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি লার্ভা পাওয়া গেছে নির্মাণাধীন ভবনে, যা ৪২ দশমিক ১১ শতাংশ, বহুতল ভবনে ৩১ দশমিক ৫৮ শতাংশ, একক ভবনে ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ, সেমিপাকা/বস্তি এলাকায় ৯ দশমিক এবং পরিত্যক্ত জমিতে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।

জরিপে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) উচ্চমাত্রার ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে থাকা ওয়ার্ডগুলো হলো: পুরান ঢাকার মদন মোহন বসাক রোড ও আশপাশের এলাকা নিয়ে গঠিত ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড। দয়াগঞ্জ ও আশপাশের এলাকা নিয়ে গঠিত ৪০ নম্বর ওয়ার্ড এবং ডিস্ট্রিলারি রোড ও আশপাশের এলাকা নিয়ে গঠিত ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড। মশার ঘনত্ব পরিমাপক ব্রুটো ইনডেক্স অনুযায়ী এসব এলাকায় মশার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image