
জাফর আলম, কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফ হ্নীলায় ভূমি অফিসে লেগেছে নতুনত্বের ছোঁয়া।পাল্টে গেছে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ভূমি অফিসের দৃশ্যপট।আস্তে আস্তে বাড়ছে সরকারের ভূমি সংশিষ্ট সকল সেবার পরিধি।জনবান্ধব হতে শুরু করেছে ভূমি অফিসটি।ভূমি সংশিষ্ট কাঙ্খিত সেবা পেয়ে সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটছে,চেহারায় ভাসছে সন্তুষ্টির ছাপ। হ্নীলা ভুমি সহকারী কর্মকর্তা মিছবাহ আধুনিক চিন্তা-চেতনা, উপনিবেশিক ধ্যান-ধারণার পরিবর্তন এনে জনবান্ধব সেবার মানসিকতা ও কর্মদক্ষতার বহি:প্রকাশ ঘটেছে হ্নীলা ভূমি অফিস ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে।
জনবান্ধব হ্নীলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ভুমি সহকারী কর্মকর্তা মিছবাহ ভূমি অফিসকে পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছেন।ভূমি অফিসটি শুধু বাইরেই চাকচিক্য নয় বরং ভিতরের কার্যক্রমেও নতুনত্বের ছোঁয়া লেগেছে।এতে হ্নীলা ও হোয়াইক্যংবাসী আনন্দিত। পূর্বের যে কোন সময়ের তুলণায় ইউনিয়ন ভূমি অফিসটি বর্তমানে অনেক উন্নত ও মানসম্পন্ন বলে জানিয়েছেন স্হানীয় সচেতন লোকজন।
হ্নীলা ভূমি অফিস ঘুরে দেখা গেছে,ইউনিয়ন ভূমি অফিসটি আগের পরিবেশ আর নেই, সম্পুর্ণ পাল্টে গেছে বাইরের এবং ভিতরের চিত্র।অফিসে সিটিজেন চার্টার ও এক নজরে তথ্য সম্বলিত ব্যাণার টানানো হয়েছে।অফিসে টানানো হয়েছে অনার বোর্ড,দরজায় টানানো হয়েছে নেমপেট। ভূমি অফিসে নামজারী আবেদন করার সাথে সাথে ইউনিয়ন ও ভূমি অফিসে কবে যোগাযোগ করতে হবে তাও জানিয়ে দেয়া হয়। ভূমি অফিস বাইরে বাগান,এক পাশে আধুনিকতার মিশেলে গোল ঘর। অপূর্ব আর নান্দনিকতার ছোঁয়া সর্বত্র। রুচিশীল আর আভিজাত্যের সমন্বয়ে বদলে গেছে অফিসের পুরো চেহারা।প্রতিটি গ্যালারিতে সাজানো গোছানো কোন সালের কতটি নথি আছে সে তালিকা টানানো রয়েছে। যার ফলে দু’মিনিটের ভেতরে যেকোন নথি বের করা যাবে।
হ্নীলা ভূমি অফিসটি আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। হ্নীলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মিছবাহ যোগদান করার পর থেকে অফিসের ভিতর ও বাহিরকে সাজিয়েছেন জনবান্ধন করে।প্রতিটি স্তরে সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রচার করা হয়েছে ভূমি আইন বিষয়ে।নিশ্চিত করা হয়েছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।বিষয়টি ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে ভূমি মালিকদের মধ্যে। সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। অফিসের বারান্দায় কথা হয় বৃদ্ধ কাশেমের সাথে তিনি বলেন,ভূমি অফিসে নামজারি,খাজনার দাখিলা শুধুমাত্র নির্ধারিত ফি দিয়েই করতে পেরেছি। তিনি বলেন, এই বদলে যাওয়া অব্যাহত থাকলে এগিয়ে যাবে ভূমি সেবা।সেবা পাবে হ্নীলা ও হোয়াইক্যংবাসী। শুধু কাশেম নন কথা হয় ভূমি অফিসে আসা কাঞ্জরপাড়া এলাকার ছিদ্দিক আহমেদের সাথে।
তিনি বলেন,ভূমি অফিসে এসে মনটা ভাল হয়ে গেছে। কর্মকর্তা কর্মচারীদের ব্যবহার যেন বদলে গেছে। তার মতে আমরা গ্রাহকরা এরকম সেবাই আশা করি। হ্নীলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মিছবাহ বলেন,সাধারণ মানুষ সেবা পাওয়ার স্থান আশ্রয়স্থ হিসেবে মনে করে থাকে। সেই আশ্রয়স্থলের কর্ণধার হয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প বাস্তবায়নে আমরাই হতে পারি সেরা হাতিয়ার। আন্তরিকতাই পারে সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে।
ভূমি -সহকারী কর্মকর্তা মিছবাহর সাথে এ বিষয়ে আলাপ করলে তিনি আরও জানান,এখন কাজ করতে অনেক স্বাচ্ছন্দবোধ করি।আধুনিকতা ও নান্দকিতার ছোঁয়া এনেছি এ জন্য সেবা প্রত্যাশী মানুষেরা এখানে এসে প্রসংশা করছেন।তারা তাদের কাঙ্খিত সেবা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: