• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে শৈত্যপ্রবাহ,কনকনে শীতে কষ্টে শ্রমজীবীরা


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:০৬ পিএম
বিপর্যস্ত,জনজীবন
ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন

মোহাম্মদ রুবেল

উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলসহ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে বইছে জেঁকে বসেছে শীত।মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ায় সারাদেশে শীতের এই তীব্রতা বেড়েছে।শুক্রবার থেকেই তাপমাত্র কমে যাওয়ায় শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে রাজধানী জুড়ে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সূর্যের দেখা তেমন মিলছে না।সাথে বইছে হিমেল হাওয়া।এতে বেড়েছে ঠান্ডার তীব্রতা।এমন পরিস্থিতিতে কষ্টে আছে শ্রমজীবী মানুষ।এছাড়া শীতজনিত রোগে ভুগছে শিশু ও বৃদ্ধরা। হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।অনেকটাই বিপর্যস্ত জনজীবন।ঘন কুয়াশায় পরিবহন চলাচলেও দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে দেখা গেছে চালকদের।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,এমন পরিস্থিতি আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

এপ্রেক্ষিতে ঘন কুয়াশায় সড়ক ও মহাসড়কে যান চলাচলে ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মোটরযান চালক ও মালিকদের সতর্কতামূলক একাধিক নির্দেশিকা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

নির্দেশনায় গাড়িচালক ও মালিকদের প্রতি বলা হয়েছে,কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীরগতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে।

এতে বলা হয়,কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থায় গাড়ির হেডলাইট ‌‘লো-বিম বা ডিপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ‘হাই-বিম বা আপার’ কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় ‘হাই-বিম বা আপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।

এতে আরও বলা হয়, লেন পরিবর্তন বা ওভারটেকিং করা যাবে না। যেসব স্থানে দৃষ্টি যায় না বা বাঁক নেওয়ার আগে দেখা যায় না, সেসব স্থানে দরকার হলে বিপদ এড়ানোর জন্য হর্ন বাজাতে হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়, ঘন কুয়াশার কারণে একেবারেই দেখা না গেলে বা দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেলে নিরাপদ জায়গায় গাড়ি থামিয়ে হেডলাইট বন্ধ করে হ্যাজার্ড লাইট জ্বালাতে হবে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্রে জনা যায়, শনিবার রাজশাহী বিভাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, খুলনা বিভাগে ৯.৩, বরিশাল বিভাগে ১২.৩, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩.৩, রংপুর বিভাগে ১০.৯, সিলেট বিভাগে ১৫.৪ ও ঢাকা বিভাগে ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।অপরদিকে শুক্রবার রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে আরও জানায়, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নামলে তা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।

শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি একই এলাকায় বিরাজমান রয়েছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। ফলে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এ ছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনে তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / এমআর

আরো পড়ুন

banner image
banner image