• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

নদীর প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে দেশের আর প্রাণ থাকবে না-নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:০৩ পিএম
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ছবি: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি

নিউজ ডেস্ক:  নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি বলেছেন, নদীর প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে দেশের আর প্রাণ থাকবে না। নৌপথ খননের লক্ষ‍্যে বঙ্গবন্ধু ৮টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন, এখন দেশে প্রায় ৮০ টি ড্রেজার আছে। নদীর প্রবাহ ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এই উদ্যোগ নিয়েছেন। যারা নদী দখল করেছে তাদের তালিকা করা হয়েছে, এখন তা যাচাই বাছাই চলছে। দখলদারদের হাতে নদী থাকবে না, উদ্ধার হবেই।

প্রতিমন্ত্রী আজ রূপসা সেতুর নিচে টোলঘাটে সংবাদ আলোকচিত্রী কাকলী প্রধান এর ১০০ নদীর উন্মুক্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম‍্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, সংবাদআলোকচিত্রী কাকলী প্রধান, অনুষ্ঠান সমন্বয়ক মাসুম মাহমুদ। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার-নদী দখলদারদের হাতে থাকবেনা।

তাঁর নির্দেশনায় ১০,০০০ কিলোমিটার নৌপথ খননের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ৮০ টি ড্রেজার সংগৃহীত হয়েছ। নৌপথ দখল ও দুষণমুক্ত করে নাব্যতা ফিরিয়ে এনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। নৌপথ ও নদী রক্ষার জন্য যারা কাজ করছেন তাদের পাশে বর্তমান সরকার রয়েছে। কাকলী প্রধান নদী নিয়ে যে আয়োজন করেছে এটা সকল জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক। তাহলেই দেশের নদী রক্ষা পাবে। নদীকে নিয়ে সবাইকে ফটো সাংবাদিক কাকলী প্রধান হওয়ার আহবান জানান।

শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশকে আমরা প্রবহমান নদীর দেশে রুপান্তরিত করবো। গণমাধ্যমের সহযোগিতায় আমরা নদী উদ্ধার করতে পেরেছি এই জন্য গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পুরো দেশে পরছে। উত্তরাঞ্চল মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে। পানির স্তর কমে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে হলে নদী বাঁচাতে হবে। তিনদিনব্যাপি এ প্রতিযোগিতা চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিটি ছবির দৈর্ঘ‍্য ১৫ ফুট, উচ্চতা ১০ফুট।

সংবাদ আলোকচিত্রী কাকলী প্রধান এবং শিশু সংগঠন 'ইকরিমিকরি' সাধারণ মানুষের কাছে নদীর বিপন্নতা ও শিশুদের কাছে নদীর রূপ, প্রকৃতি তুলে ধরার জন‍্য কাজ করছে। এ লক্ষ‍্যে ১০০ নদীর আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা, বরিশাল, খুলনা ও টেকনাফে। আলোকচিত্র প্রদর্শনী ২৪-২৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তি প্রদর্শনী বরিশালে কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে ড্রেজার বেইজে ১৬-১৮ মার্চ এবং ঢাকার শ‍্যামপুর ইকোপার্কে ২০-২২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। আলোকচিত্র প্রদর্শনীগুলোর সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ অভ‍্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। প্রতিমন্ত্রী এর আগে খুলনার বয়রাস্থ বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) ভূমি, বানিয়াখামাস্থ শপিং কমপ্লেক্স, মোংলা বন্দরের রুজভেল্ট জেটি এবং বিআইডব্লিউটিএ’র জেটি পরিদর্শন করেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি

আরো পড়ুন

banner image
banner image