
সুমন দত্ত: প্রধানমন্ত্রী সাহস না দিলে বিদেশি চ্যানেল বন্ধে আইন কার্যকর করতে পারতাম না। তিনি সাহস দিয়েছেন বলেই ২০০৬ সালের আইন আমরা কার্যকর করতে পেরেছি। সেই আইনেই বলা ছিল বিজ্ঞাপনমুক্ত বিদেশি চ্যানেল প্রচার করতে হবে। আজ তা কার্যকর হয়েছে।
সোমবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসব কথা বলেন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ২০০৬ সালের আইন বলবত করায় তথ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাটকো। এদিন সংগঠনের সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী, সিনিয়র সহ সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবুসহ অন্যরা তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
তাদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা জানতে পেরেছি বিদেশি বেশ কয়েকটি চ্যানেল ক্লিন ফিড দিয়ে এদেশে প্রচার করছে। তাদের সংখ্যা ২৪ এর অধিক। আগে আমরা ১৭ বলেছিলাম। আকাশ ডিটিএইচ ওইসব চ্যানেল প্রচার করছে। ক্যাবল অপারেটরদের বলব, তারা যেন ওসব চ্যানেল প্রচার করেন। কিন্তু তারা সেগুলো করছেন না। এতে তারা সম্প্রচার আইন ভঙ্গ করছেন। এটা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ক্লিন ফিড এমন কঠিন কিছু না। যারা চ্যানেলটি প্রচার করছে তারা একটি কম্পিউটার দিয়ে ওই কাজ করে দিতে পারেন। প্রতিবেশী নেপালে ক্লিন ফিড দিয়ে চ্যানেল প্রচার হচ্ছে। আমাদের দেশে ক্লিন ফিড দিতে সমস্যা কোথায়? গণমাধ্যমকে সতর্ক করে মন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ বিদেশি চ্যানেলের পক্ষে ওকালতি করছেন। এটা করা সমীচীন নয়। দেশের স্বার্থ সবার আগে।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, আজ বিদেশি সব চ্যানেল বন্ধ করে একটি ভুল বার্তা সব জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হলো। এদেশের দর্শকদের অধিকার আছে বিদেশি চ্যানেল দেখার। সরকারও কোনো চ্যানেল বন্ধ করেনি। শুধু তারা আইনের কথাটি বলেছেন। আইন মেনে যেকোনো বিদেশি চ্যানেল চলতে পারে। তিনি আশা করেন অচিরেই এই সংকট কেটে যাবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি
আপনার মতামত লিখুন: