নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় চলমান বন্যা পরিস্থিতির জন্য ত্রিপুরার গোমতী নদীর বাঁধ খুলে দেওয়া নিয়ে যে আলোচনা চলছে, তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে। খবর বিবিসির।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদী সংলগ্ন অঞ্চলে এ বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
বাংলাদেশে বন্যার প্রাথমিক কারণ, বাঁধের ভাটি অংশের অববাহিকায় এই বিপুল পানিপ্রবাহ। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডুম্বুর বাঁধটির অবস্থান সীমান্ত থেকে বেশ দূরে। এই বাঁধের উচ্চতা প্রায় ৩০ মিটার।
অতিবৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে কুমিল্লার গোমতী নদী। গত ২৭ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে বিপৎসীমার ১১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে গোমতীর পানি।
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এর আগে ১৯৯৭ সালে গোমতীর পানি বিপৎসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। কিন্তু গত দুই দিনে পানি বাড়ার হিসাব অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী থাকায় দুই দেশের জন্যই বন্যা এমন একটি সমস্যা, যা জনগণের জীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করে। এ সমস্যা সমাধানে দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ প্রয়োজন বলেও এখানে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এইচ
আপনার মতামত লিখুন: