
রেজওয়ান আলী বিরামপুর প্রতিনিধি, দিনাজপুর: -জমি ছাড়াই বস্তায় ১২ মাস শসা সহ অন্যান্য ফসলের চাষে নিজেকে স্বাবলম্বী ও সংসারের অর্থনৈতিক সংকট দূর হওয়া প্রত্যয়ে বিরামপুরে বেশ কিছু পরিবার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে জানা যায়।
২৫ সেপ্টেম্বর দিনাজপুর বিরামপুরে জমি ছাড়াই বাড়ির কিছু ফাঁকা জায়গায় বস্তায় ১২ মাসে শসা সহ অনেক ফলের চাষে ব্যস্ত কৃষক সময় পার করছেন। এমনি সংবাদের ভিত্তিতে
উপজেলার কাটলা,মুকুন্দপুর,পলিপ্রয়েগপুর এবং খাঁনপুর ইউনিয়ন সহ বিরামপুর পৌরসভার অর্ন্তরালে পলি মাটির পাড়া মহল্লায় কৃষক পরিবার সহ অন্যান্য পরিবার শসা সহ অনেক ফলের চাষের দৃশ্য অবলোকন করা যায়।
জমি ছাড়াই যে কোন ফাঁকা জায়গায় এই শসার চাষ করে টানা ১২মাসে ফল পাওয়া যায়। উক্ত চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছেন অনেক পরিবার। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে জানা যায়,পরিচিত ফল গুলির মধ্যে শসা সবথেকে জনপ্রিয়। বছরের সব সময় বাজারে শসা পাওয়া যায়। শশার কার্যকারিতা রয়েছে অনেক। ডাক্তাররা শরীরের বিভিন্ন উপকারের জন্য শসা খেতে বলে থাকেন।
শরীরের জলশূন্যতা প্রতিরোধ, কিডনির পাথর,কোলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণ,ওজন হ্রাস সহ একাধিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন শসা। এর মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন বি,থিয়ামিন (বি১),রাইবোফ্লাবিন (বি২), নিয়াসিন (বি৪) সহ একাধিক উপাদান আমাদের শরীরের বিশেষ কাজ করেন। কিন্তু বাজারে চলতি শশা নয় বরং নিজের বাড়িতে চাষ করা শসা খেতে বেশি উপযোগী।
যে কারণে আমরা আপনাদের জন্য এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানাবো বাড়িতে জমি ছাড়াই এই শসা বস্তার মধ্যে কিভাবে সহজেই করতে পারবেন। এই চাষের পদ্ধতির জন্য জানান,সিমেন্টের বস্তা নিয়ে প্রথমেই তার মধ্যে পরিমান মতো উপযোগী মাটি ভরে নিতে হবে। শসা চাষের জন্য দোয়াশ মাটি ও গোবর সার মিশিয়ে এই শসা গাছের মাটি মিশিয়ে তৈরী করে নিতে হবে। মাটিকে ভালো করে ভিজিয়ে নিয়ে বাজার থেকে কিনে আনা শসার বীজ গুলি পুঁতে দিতে হবে। বীজ গুলি যেন মাটির গভীরে থাকে সেই ব্যাপারটি লক্ষ্য রাখতে হবে।
সাত থেকে আট দিন পরেই শসার বীজ থেকে চারা বেরিয়ে আসতে আরম্ভ করবে। চারা বেরোনোর ১৫-২০ পর্যন্ত সূর্যের আলো,জল ও মাটি খুব ভালো করে দিতে হবে। কারণ এই সময়েই গাছের দরকার উপযুক্ত খাদ্য ও বাতাসের প্রয়োজন হয়ে থাকে। এবার আপনার গাছে দেবেন প্রয়োজনীয় জৈব সার। বাজার থেকে জৈব সার কিনে আনবেন যার মধ্যে থাকবে জিঙ্ক,কপার, সালফেট,অ্যামনিয়া,সীসা,ফসফরাস সহ আরও প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান সমূহ।
গাছ বড়ো হয়ে গেলে মাচার মধ্যে সুতো ও বাঁশের সাহায্যে সম্পূর্ণ গাছটা বেঁধে দিন। শসা গাছ বেশি লতালে খুব ভালো হয়।
প্রায় ৫০ দিন পরেই দেখবেন এই গাছ ভর্তি শশা এসেছে। তারপরে আসতে আসতে সেই শসা গাছ থেকে ছিঁড়ে নিয়ে অনায়েসেই খেতে ও বাজারে বিক্রি করে অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
এভাবেই উপজেলার অনেক পরিবার বস্তার মাধ্যমে বিভিন্ন ফসলের চাষের দৃশ্য দেখা যায়। এছাড়াও বস্তায় শসা চাষ শসা গাছের নিয়মিত পরিচর্যা অব্যাহত রাখতে হবে। এছাড়াও জমি ছাড়াই টবে ১২ মাস চাষ করুন বেগুন,কাঁকরোলের চাষ ফলন হবে বারো মাস। আরও বাড়ির টবেই চাষ করুন ঝিঙে,ফলন হবে ১২ মাস। সংসারে অর্থনৈতিক সংকট দূর করতে বাড়ির এইদিকে লাগান অপরাজিতা গাছ, সুখে কাটবে জীবন।।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: