স্টাফ রিপোর্টার : অনড় অবস্থানে মালিক পক্ষের প্রস্তাবে কোন সাড়া দেয়নি চা শ্রমিক নেতারা। শ্রম অধিদপ্তর, চা শ্রমিক ও বাগান মালিকদের বৈঠক অনুষ্ঠিত্য হয়েছে।
আন্দোলনের কারনে চা বাগানে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার লোকসান গুণতে হচ্ছে চা বাগান মালিকদের। ভরা মৌসুমে এ আন্দোলন করাটা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন মালিক পক্ষ।
বুধবার ১৭ আগষ্ট বিকাল ৫ টায় ঢাকায় শ্রম অধিদপ্তরে চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা সংসদ ও শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের নিয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে বৈঠকে কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয় শ্রীমঙ্গলের মত।
শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী নেতেৃত্বে বুধবার বিকাল ৫টার শুরু হয়ে এ বৈঠক শেষ হয় রাত ১১টায়। বৈঠকে প্রথমে শ্রমিক নেতারা মজুরি বৃদ্ধিসহ অনান্য দাবী দাওয়া তুলে ধরেন।
পরে চা বাগান মালিকপক্ষ তাদের কথা বলে, ১২০ থেকে ২০ টাকা বাড়িয়েছেন। আলোচনায় দুইপক্ষই কোনো সমঝোতায় আসতে পারেনি পরে রাত ৮টায় চা বিরতি দেয়া হয়।
পরে আবার শুরু হলেও কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শ্রম অধিদপ্তরের এ বৈঠক শেষ হয় বলে জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি পংকজ কন্দ জানান, বৈঠকটি কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
তিনি আরও বলেন, মালিকপক্ষ বৈঠকে যে মজুরি প্রস্তাব করেছেন সেটি ৩০০ টাকার ধারের কাছেও নয়। এটি গ্রহণ যোগ্য নয়।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, মালিকপক্ষ শ্রমিকদের মজুরি ১২০ থেকে বাড়িয়ে তারা ২০ টাকা যোগ করেন মোট দাঁড়ায় মুজরি ১৪০ টাকা করার প্রস্তাব করেছিলেন। এতে আমরা রাজি হই নাই। তাই আমরা তাদের এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছি।
এব্যাপারে বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, শ্রমিকপক্ষ আমাদের কাছে ২ দিনের সময় নিয়েছেন। তারা পরে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।
তবে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, আমরা কোনো সময় নেইনি। আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছিল। আমরা আমাদের অবস্থানে আছি। আমরা আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবো। আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।
২০ টাকা বাড়িয়ে ১৪০ টাকা মজুরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। আমরা এই ২০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছি। সরকারের ডাকে আমরা বৈঠকে এসেছি। আবার ডাকলে আবার আসব। আলোচনা করব।
শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, মালিক-শ্রমিকদের বৈঠকে কোনো সিন্ধান্ত হয়নি। তবে আলোচনা চলবে। তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন না। তবে তারা একদিন সময় নিয়েছেন। স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তারা তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন বলেছেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / মোঃ জহিরুল ইসলাম/কেএন
আপনার মতামত লিখুন: