
ডেস্ক রিপোর্টার: অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যার রহস্য জট খুলতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। মরদেহকে বস্তাবন্দী করা প্লাস্টিকের সুতো ধরেই চাঞ্চল্যকর এই হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়।
অভিনেত্রী শিমু পরিবারসহ রাজধানীর গ্রিনরোড এলাকায় বসবাস করতেন। গত সোমবার কলাবাগান মডেল থানায় স্ত্রী নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন শিমুর স্বামী নোবেল।
এর আগেই সকালে কেরানীগঞ্জের হজরতপুরের আলীপুর ব্রিজ এলাকার রাস্তার পাশের ঝোপ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আলামত সংগ্রহ করে। একইসাথে শিমুর বাসা থেকেও তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে পুলিশ। তদন্তের সময়ই গাড়িতে থাকা প্লাস্টিকের সুতার সূত্র ধরে উন্মোচিত হয় হত্যার মূল রহস্য।
শিমুর মরদেহ বহনের জন্য দুটি বস্তা যে প্লাস্টিকের সুতা দিয়ে সেলাই করা হয়েছিল, সেই সুতাই শিমুর স্বামী নোবেলের গাড়িতে পাওয়া যায়।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ সরদার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে শিমুর পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে। পাশাপাশি অভিনেত্রী শিমুর বাসায় গিয়ে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে।
এ সময়ই বস্তা সেলাই করার সেই সুতার এক বান্ডেল পাওয়া যায় শিমুর স্বামী নোবেলের গাড়িতে। সেই সুতার সূত্র ধরেই পুলিশ মূলত নোবেলকে সন্দেহ করে। গাড়িটি পুলিশ ধোয়া অবস্থায় পায়। তবে এর ভেতর দুর্গন্ধ দূর করতে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হয়েছিল।
তিনি বলেন, শিমুকে হত্যার পর তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল এবং নোবেলের বন্ধু ফরহাদ লাশটি গুম করে দেয়ার পরিকল্পনা করেন। তারপর দুজনে মিলে দুটি বস্তা একসঙ্গে জোড়া লাগিয়ে ভেতরে লাশটি রাখেন। এরপর নোবেলের নিজের গাড়িতে করে শিমুর লাশটি নিয়ে কেরাণীগঞ্জের আলিয়াপুর ব্রিজ এলাকায় যান। সেখানে লাশটি ফেলে রেখে পালিয়ে আসেন তারা।
শিমুর স্বামী নোবেল এবং নোবেলের বন্ধু ফরহাদকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এবং ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে শিমু হত্যায় এ দুজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। রিমান্ড শেষে আদালতেও দায় স্বীকার করে তারা জবানবন্দি দেবেন বলে ধারণা পুলিশের।
এ ঘটনায় জড়িত থাকায় শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু গাড়িচালক এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ হত্যার ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানার মামলায় নোবেল ও গাড়িচালক ফরহাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: