• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

হালদায় রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউস মাছ ডিম ছাড়ছে


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:৩০ পিএম
কার্প জাতীয় রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউস মাছ ডিম ছাড়ে
রুই, কাতলা, মৃগেল মাছ ডিম ছাড়ে

নিউজ ডেস্ক:  প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র ও বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছাড়ছে কার্প জাতীয় মা মাছ। বুধবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ১১টা থেকে ৩টার মধ্যে জোয়ার-ভাটার সময় নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছেরা। হালদা নদীর হাটহাজারী উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের রামদাসমুন্সির হাট, মাছুয়াঘোনা, আমতুয়া গসড়দোয়ারা ইউনিয়নের নয়াহাট এলাকার কিছু অংশে নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ।

তবে সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কার্প জাতীয় (রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউস) মাছ ডিম ছাড়ে। ১০৬ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীটিতে এবার ডিম ছাড়ার দুটি উপযুক্ত সময় চলে গেছে। এখন পর্যন্ত হালদায় ডিম ছাড়েনি কার্প জাতীয় মাছ। এর জন্য তীব্র দাবদাহ এবং হালদা নদীর পানিতে কর্ণফুলী নদী হয়ে সাগরের লোনা পানি প্রবেশকে দায়ী করা হচ্ছে।

ডিম সংগ্রহে নিয়োজিতরা বলছেন, এ বছর ছয়টি সময় ছিল। এর মধ্যে তিনটি চলে গেছে। আরও তিনটি সময় রয়েছে। ওই সময়ে ডিম ছাড়তে পারে মা মাছ। মা মাছে ডিম ছাড়ার সম্ভাব্য সময়গুলোর মধ্যে ৪ থেকে ৮ মে চলে গেছে। ১৬ থেকে ২২ মে, ১ জুন থেকে ৬ জুন, ১৬ জুন থেকে ১৯ জুন হালদা নদীতে কার্পজাতীয় মাছ ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রাউজান উপজেলার কাগতিয়া এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন ডিম সংগ্রহকারী। তিনি বলেন, ‘এবার ডিম ছাড়ার সময় চলে যাচ্ছে অথচ পর্যাপ্ত বৃষ্টির দেখা নেই। আমরা যারা ডিম সংগ্রহ করি সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। ভারী বৃষ্টি হলে পাহাড়ি ঢল নামলে ডিম ছাড়বে মা মাছ। আমরা এখন বৃষ্টির অপেক্ষায় আছি।’ 

হালদা নদী থেকে ডিম সংগ্রহের কাজ করে অন্তত ৭০০ জেলে। এসব ডিম থেকে রেণু ফুটানোর জন্য হালদা নদীর পাড়ে হাটহাজারীতে তিনটি এবং রাউজান উপজেলার একটি সরকারি হ্যাচারি, আইডিএফ-এর একটি হ্যাচারি ছাড়াও ১৭৬টি মাটির কোয়াতে ডিম থেকে রেণু ফোটানোর কাজ চলে। হ্যাচারিগুলোতে চারদিন বয়সী হালদার রেণু বিক্রি হয় এক লাখ ৯০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, হালদায় ২০২২ সালে ডিম সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫৩৮ কেজি। ২০২১ সালে ছিল ৮ হাজার ৫০০ কেজি এবং ২০২০ সালে ছিল সাড়ে ২৫ হাজার কেজি।  

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ শহিদুল আলম  বলেন, ‘বুধবার রাতে নদীর কিছু কিছু স্থানে ডিম ছেড়েছে বলে খবর পেয়েছি। তবে ডিম ছাড়ার পরিমাণ খুবই কম। এ কারণে সংগ্রহকারীরা এটিকে নমুনা ডিম বলছেন। ডিম ফুটানোর জন্য হ্যাচারিগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখন বাকিটা প্রকৃতির উপর নির্ভর করছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা গবেষক ড. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, ‘বুধবার রাতে কয়েকটি স্থানে ডিম ছেড়েছে মা মাছ। এটি হচ্ছে নমুনা ডিম। নমুনা ডিম ছাড়ার অর্থই হচ্ছে হালদার মা মাছগুলো ডিম ছাড়ার উপযোগী হয়েছে। আজ-কালের মধ্যে বৃষ্টি হলেই নদীতে ডিম ছাড়বে মা মাছ।’ 

রুই জাতীয় মাছের মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে খ্যাত হালদা নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image