• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

৬৮ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা টাইগারদের


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৬:২৪ পিএম
৬৮ রানের লিড
৬৮ রানের লিডে ইনিংস ঘোষণা

ডেস্ক রিপোর্টার: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬৮ রানের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের করা ৩৯৭ রানের জবাবে চতুর্থ দিনে ৯ উইকেটে ৪৬৫ রান তুলে বাংলাদেশ।

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে ৩৯৭ রানে গুটিয়ে দিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ দল। তৃতীয় দিনে ৩ উইকেটে ৩১৮ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনে বৃষ্টি বাগড়ায় দেরীতে শুরু হয় চতুর্থ দিনের খেলা। তবে খেলা শুরু হলে লিটন-মুশফিকের ব্যাটে স্বপ্ন দেখতে থাকে টাইগাররা। ১৬২ রানের উদ্বোধনী জুটির পর দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়লেও লিটন-মুশফিক বিপর্যয় সামাল দিয়ে আজ উপহার দিয়েছেন আরও একটি শতরানের জুটি। এই জুটিতে তারা যোগ করেন ২০১ রান।

ব্যাটিং করা লিটন-মুশফিক দুজনই এগুচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু বাঁধ সাধেন কনকাশন বদলি হিসেবে দলে আসা কাসুন রাজিথা। রাজিথার করা ১৩৫তম ওভারের প্রথম বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন দাস। উইকেটের অনেক বাহির দিয়ে যাওয়া বলটি খেলার কোন প্রয়োজনই ছিল না তার। আউট হওয়ায় আগে ১০ বাউন্ডারিতে ৮৮ রান করেন লিটন।

রাজিথার সেই ওভারে আরও একবার ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। লিটনকে ফেরানোর ঠিক পরের বলে তিনি ফিরিয়ে দেন আগের দিনে সেঞ্চুরি পাওয়া তামিমকেও। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে গতকাল মাঠছাড়া তামিম আজ যোগ করতে পারেননি কোন রান। মোকাবেলা করা প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যান তামিম।

এ সময়ে যেন কিছুটা খাপছাড়া ব্যাটিং করছিল বাংলাদেশ। তামিমের পর প্যাভিলিয়নে ফেরার সম্ভাবনা জেগেছিল সাকিব আল হাসানেরও। রমেশ মেন্ডিসের স্পিন একটু বেশিই পায়ের দিকে এসে গিয়েছিল সাকিবের। তারপর ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে গিয়েছিল শর্ট লেগের ফিল্ডারের হাতে। শ্রীলঙ্কানদের উল্লাসেও সাড়া দেননি আম্পায়ার। সাকিবও নড়েননি উইকেট থেকে। থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের জন্য মনিটরে তাকাতে দেখা গেল বল ফিল্ডারের হাতে জমা পড়ার আগে মাটি ছুঁয়ে গেছে।

বেশিক্ষণ টেকেননি সাকিবও। ৪৪ বলে ২৬ রান করেই আশিথা ফার্নান্ডোর বলে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিয়েছেন টেস্টের সাবেক নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার।

লিটন না পারলেও এদিন সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মুশফিক। দারুণ সংযমে রিভার্স সুইপ না খেলে ২৬ মাস পর সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। ২৭০ বল মোকাবেলা করে মাত্র চারটি বাউন্ডারিতে সেঞ্চুরি করেন মুশফিক। আশিথা ফার্নান্ডোর বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুশফিক।

সেঞ্চুরির পর আর স্থায়ী হয়নি মুশফিকের ইনিংস। এম্বুলদিনিয়ার বলে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান মুশফিক। হন্তারক সুইপ শটে জীবন দেবেন পন করেই যেন লেগ স্ট্যাপের ফুল লেংথের বলটি সুইপ করতে গিয়েছিলেন তিনি। ২৮২ বলে ১০৫ রান করে আউট হন মুশফিক। দলীয় রান তখন ৪৩৯। ততক্ষণে বাংলাদেশের লিড ৪২ রানের।

মুশফিকের বিদায়ের কিছুক্ষণ পর আউট হয়ে যান নাঈম হাসানও। ৫৩ বলে ৯ রান করে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার শিকারে পরিণত হন নাঈম। বরাবরের মতোই তেল এন্ডারদের ব্যর্থতায় লিড বাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ তিন উইকেটে দলের খাতায় যোগ হয়েছে মাত্র ২৬ রান। তাতে চতুর্থ দিনের তৃতীয় সেশন পর্যন্ত ব্যাট করে বাংলাদেশ সব কয়টি উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে রান। প্রথম  ইনিংসে টাইগারদের লিড ৬৮ রানের।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image