• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

রাবি অধ্যাপক তাহের হত্যা : ২ আসামির মৃত্যুদন্ড বহালের রায় প্রকাশ


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:৩০ পিএম
তাহের হত্যা, ২ আসামির মৃত্যুদন্ড
ড. এস তাহের হত্যা মামলার রায় প্রকাশ

নিউজ ডেস্ক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদন্ড বহালের রায় প্রকাশ করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ রায় প্রদানকারী আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতি স্বাক্ষরের পর ৬৮ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।

হত্যার শিকার অধ্যাপক তাহেরের কন্যা সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ  এ কথা জানান। তিনি দ্রুতই এ রায় কার্যকর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। আপিল বিভাগ রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ড. তাহের বেঁচে থাকলে অধ্যাপক হতে পারবেন না, এমন আশংকা থেকে খুন করেন মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

শুনানি শেষে গত ৫ এপ্রিল অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে রায় দেন আপিল বিভাগ। এখন পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলো। এডভোকেট সেগুফতা বলেন, আমরা রায়ের সার্টিফাইড কপি হাতে পেয়েছি।

রায়টি ঘোষণার পর এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ড. তাহের হত্যা ছিল ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো। এর মাধ্যমে অন্যদের কাছেও বার্তা যাবে যে, এ ধরনের জঘন্য অপরাধীদের ছাড় নেই।

ড. এস তাহেরের স্ত্রী সুলতানা আহমেদ বলেন, ১৬ বছর ধরে অপেক্ষা করছি। আপিল বিভাগ আজ আসামিদের সাজা বহাল রেখেছেন। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। দ্রুত এ রায় কার্যকরের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করছি। রায় কার্যকর হলে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হবো। 

অধ্যাপক ড. তাহের হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুতবিচার আদালত চারজনকে মৃত্যুদন্ড ও দুজনকে বেকসুর খালাস দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়। ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল হাইকোর্ট দুই আসামির ফাঁসির দন্ড বহাল রাখেন এবং অন্য দুই আসামির দন্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধেও আসামিরা আপিল করেন। পরে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক ড. তাহেরের মৃতদেহ। এর দুই দিন পর ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image