• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৬৬ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৬:০৮ পিএম
৫৬৬  নেই প্রধান শিক্ষক
প্রাথমিক বিদ্যালয়

মনিরুজ্জামান মনির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ প্রধান শিক্ষক না থাকায় স্কুলের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় প্রধান শিক্ষকের সংকটের কারণে প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল দশা। কর্তৃপক্ষ জানায়, সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ করার প্রক্রিয়া চলছে। শুধু শিক্ষক নয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়সহ জেলার ৯টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে রয়েছে কর্মচারী সংকট। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১ হাজার ১০৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৬৬টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই।

প্রধান শিক্ষক না থাকা ৫৬৬টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা স্ব-বেতনে প্রধান শিক্ষকের (চলতি দায়িত্ব) পালন করছেন। বাকী ২৪৯টি বিদ্যালয়ে বর্তমানে কোন প্রধান শিক্ষক নেই। প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানায়, সদর উপজেলার ১২৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬১টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। প্রধান শিক্ষক না থাকা ৬১টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩১টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকগণ প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব পালন করছেন, বাকী ৩০ বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রধান শিক্ষক নেই। বিজয়নগর উপজেলার ১০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৯টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই।  প্রধান শিক্ষক না থাকা ৫৯টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৭টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকগণ প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব পালন করছেন, বাকী ৩২ বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রধান শিক্ষক নেই। নবীনগর উপজেলার ২২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১২২টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। প্রধান শিক্ষক না থাকা ১২২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৮টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব পালন করছেন, বাকী ৫৪ বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রধান শিক্ষক নেই। কসবা উপজেলার ১৬৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮৮টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। প্রধান শিক্ষক না থাকা ৮৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬০টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকগণ প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব পালন করছেন, বাকী ২৮ বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রধান শিক্ষক নেই। সরাইল উপজেলার ১২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬২টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই।  প্রধান শিক্ষক না থাকা ৬২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩১টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকগণ প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব পালন করছেন, বাকী ৩১ বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রধান শিক্ষক নেই। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ১৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬২টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই।  

প্রধান শিক্ষক না থাকা ৬২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৮টি বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব পালন করছেন, বাকী ২৪ বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রধান শিক্ষক নেই। আখাউড়া উপজেলার ৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই।  প্রধান শিক্ষক না থাকা ১৯টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ০৭টি বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষকগণ প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব পালন করছেন, বাকী ১২ বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রধান শিক্ষক নেই। নাসিরনগর উপজেলার ১২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৭টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই।  

প্রধান শিক্ষক না থাকা ৬৭টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৯টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকগণ প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব পালন করছেন, বাকী ২৮ বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রধান শিক্ষক নেই। আশুগঞ্জ উপজেলার ৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৬টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই।  প্রধান শিক্ষক না থাকা ২৬টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৬টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকগণ প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব পালন করছেন, বাকী ১০ বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রধান শিক্ষক নেই। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, জেলার ৫৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। এর মধ্যে ৩১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকগণ স্ব-বেতনে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। ২৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রধান শিক্ষক নেই। তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয় গুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকদফা অবহিত করা হয়েছে। সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ করার জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, শুধু প্রধান শিক্ষকই নয়, রয়েছে কর্মচারী সংকটও। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে ক্যাশিয়ারসহ ৩টি পদে কর্মচারী নেই। এছাড়াও জেলার ৯টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়েও রয়েছে কর্মচারী সংকট।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image