• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

২'শ বই নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গেলেন এক নববধূ!


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৭ ফেরুয়ারী, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১:২৫ পিএম
২'শ বই, শ্বশুরবাড়ি,নববধূ

নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলায় এক নববধূ প্রায় ২'শ বই নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে। স্বপ্ন দেখছেন শ্বশুরবাড়ির একটি কক্ষে ‘বউ-শাশুড়ির বই ঘর’ নামে একটি লাইব্রেরি গড়বেন। ওই লাইব্রেরিতে এলাকার বউ-শাশুড়িসহ স্কুল-কলেজের ছাত্রীরা এসে বই পড়বেন।

সোমবার বিকালের দিকে নববধূ মেহেরুন নেছা মুমু বাবার বাড়ি থেকে বই নিয়ে উপজেলার চর ফলকন গ্রামের স্বামীরবাড়িতে আসেন। বই ছাড়াও বাহারি পদের দেশীয় পিঠাও সঙ্গে নিয়ে আসেন। ওইসব পিঠা প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিতরণ করেন।

মুমু কমলনগর উপজেলার চর ফলকন গ্রামের ডা. অবাদুল হক চেয়ারম্যান বাড়ির মহিউদ্দিনের কন্যা। একই গ্রামের রমজান আলী মৌলভীবাড়ির মাকছুদুর রহমানের পুত্র তরুণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমরান হোসেন নিখিলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। মুমু ঢাকার ইডেন কলেজের ইংরেজি তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।

শনিবার মুমুর বউভাতের আয়োজন হয়। বউভাত অনুষ্ঠানের একদিন পরেই শ্বশুরবাড়িতে বই নিয়ে আসেন এই নববধূ।

মুমুর পরিবার ও স্বজনরা জানান, বই পড়তে তার ভালো লাগে। বই সংগ্রহ ও পড়া তার প্রিয় শখ। শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে আসা সব বই তার পড়া হয়েছে। এসব বইয়ের বেশির ভাগই তার বিভিন্ন সময়ের জমানো টাকায় কেনা। অল্প কিছু বই জন্মদিনসহ বিভিন্ন দিবসের উপহার, ৮-১০টি বই তার স্কুল-কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পুরস্কার হিসেবে পাওয়া। মুমুর প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের প্রায় শতাধিক বই পড়েছেন তিনি।

মুমুর স্বামী অ্যাডভোকেট এমরান হোসেন নিখিল স্ত্রীর সঙ্গে করে আনা বইয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। তাতে বাহ্ বাহ্ দিয়ে কমেন্ট করেছেন অনেকেই।

মুমুর মা ছালেহা বেগম জানান, তার মেয়ের প্রিয় শখ বই পড়া। শাড়ি-চুড়ি, কসমেটিকসে আগ্রহ নেই। ছোটবেলা থেকেই টাকা জমিয়ে বই কেনা ছিল তার অভ্যাস। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার সময় মেয়ের সংগ্রহে থাকা সব বই নিয়ে গেছে। 

নববধূর শাশুড়ি কামরুন নাহার বলেন, আমার কন্যা সন্তান নেই, দুই পুত্র। আমার পুত্রের সুবাদে একটা কন্যা পেয়েছি। এই লক্ষ্মী মেয়ে আসার সময় অনেক বই নিয়ে আসেন। এতে আমি খুবই খুশি ও আনন্দিত হয়েছি।

নববধূ মেহেরুন নেছা বলেন, বই কেনা ও বই পড়া আমার ভীষণ শখ। বই উপহার পেতে আমার খুব ভালো লাগে। অনেক দিন থেকে জমানো বইগুলো বাবার বাড়িতে রেখে আসতে মন চাইছিল না; তাই সঙ্গে করে নিয়ে আসলাম। স্বপ্ন দেখছি স্বামীর বাড়িতে ‘বউ-শাশুড়ির বই ঘর’ নামে একটি লাইব্রেরি গঠন করবো। এলাকার সব বউ-শাশুড়িরা বই পড়বে। এতে বউ ও শাশুড়িদের মধ্যে হৃদ্যতাও বাড়বে। 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

Something went wrong!