• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

পাকুন্দিয়ায় বিএনপি ও আ'লীগের সংঘর্ষে প্রবাসে থেকেও মামলার আসামি


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৫৯ এএম
বিএনপি, পুলিশ ও আ'লীগের সংঘর্ষ
আতিকুর রহমান লিটু (৪৫) ও মো. রাসেল (৩৫) নামে দুই প্রবাসী আসামি

বিজয়কর রতন, মিঠামইন (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ- কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিএনপি, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ১৩৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় হাজার জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলায় অন্যদের সঙ্গে আতিকুর রহমান লিটু (৪৫) ও মো. রাসেল (৩৫) নামে দুই প্রবাসীকে আসামি করা হয়েছে। আতিকুর রহমান লিটু ২০২১ সালে ২ আগস্ট ছুটি শেষে সৌদি আরবে ফিরে যান এবং মো. রাসেল দুই মাস ধরে দুবাইয়ে আছেন।

তবে আতিকুর রহমান লিটু উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ও রাসেল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক পদে ছিলেন বলে জানা গেছে। রাসেল উপজেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন (ভিপি কামালের) চাচাতো ভাই।সৌদি আরব প্রবাসী আতিকুর রহমান লিটু উপজেলা নারান্দী ইউনিয়নের ছোট আজলদী গ্রামের শাফিউদ্দিন পাঠানের ছেলে। দুবাই প্রবাসী মো. রাসেল উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের চরতেরটেকিয়া গ্রামের ওয়াহাব মিয়ার ছেলে।

সৌদি আরব প্রবাসী আতিকুর রহমান লিটু এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমি দীর্ঘ দিন ধরে সৌদি আরব আছি। আমি ২০২১ সালের ২ আগস্ট ছুটি শেষে সৌদি আরবে ফিরে আসি। আমি এখনো সৌদি আরবে আছি। কীভাবে এই মামলায় আমার নাম এসেছে বুঝতে পারলাম না। আমি কি সৌদি আরব থেকে পুলিশের সঙ্গে মারামারি করেছি। হয়ত বিএনপি করি বলেই প্রবাসে থাকা সত্ত্বেও আমার নামে মামলা হয়েছে। দুবাই প্রবাসী রাসেল এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমি দুই মাস হলো দুবাইয়ে আসছি। পুলিশের সঙ্গে মারামারি হলো পাকুন্দিয়ায় আর আমি দুবাইয়ে থেকে আসামি। বিষয়টি হাস্যকর। আমার অপরাধ আমি বিএনপির সমর্থক। তাই দুবাইয়ে বসেই পুলিশের সঙ্গে মারামারি করেছি। বাড়িতে গিয়ে পুলিশ আমাকে না পেয়ে আমার বড় ভাই রহমতউল্লাহ রুবেলকে ধরে নিয়ে গেছে।

ঘটনার দিন আতিকুর রহমান লিটু ও রাসেল প্রবাসে অবস্থানের দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মামলার বাদী পাকুন্দিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ কামাল জানান, আমরা বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেককে আটক করেছি। পরে তাদের কাছ থেকে শুনে অন্যদের নাম লিখেছি। অনেক সময় এমনও হয়, এত এত লোকের ভিড়ে এক-দুইজন এদিক-সেদিক হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে অনিচ্ছাকৃত কোনো ভুল হয়ে থাকলে, তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাকুন্দিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক নাহিদ হাসান সুমন বলেন, আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। মামলার তদন্ত চলছে। আমি তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে যদি তাদের সম্পৃক্ততা নাই পাই বা তারা যে প্রবাসে আছে, সেটা যদি প্রমাণিত হয় তবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 

 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image