নিউজ ডেস্ক : পাঁচটি মানি এক্সচেঞ্জার অনিয়মের অভিযোগে বন্ধ করা হয়েছে এবং অনুমোদনহীন আরও ৯টি সিলগালা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সমসাময়িক বিষয় নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ৫৩টি মানি এক্সচেঞ্জারে অভিযান চালানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪২টিকে শোকজ করা হয়েছে। এ ছাড়া অনিয়মের অভিযোগে ৫টি মানি এক্সেচেঞ্জার বন্ধ করা হয়েছে। আর অনুমোদনহীন ৯টিকে সিলগালা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়ছে।
কোভিড-পরবর্তী সময়ে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় প্রচুর ডলারের ব্যবহার শুরু হয়। এতে ডলারের খোলা বাজারে তৈরি হয় অস্থিরতা। এ সময় জ্বালানি তেল, ভোগ্যপণ্য ও জাহাজ ভাড়া বেড়ে যাওয়াই এর অন্যতম কারণ। পরবর্তী সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধও রসদ জুগিয়েছে এ অস্থিরতায়। দেশীয় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো ডলারের দাম বাড়িয়ে এ সংকটকে আরও বাড়িয়ে দেন।
এমন পরিস্থিতিতে ডলারের দাম নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেয়া মূল্যকে গুরুত্ব না দিয়ে ব্যবসায়ীরা চলতে থাকেন ইচ্ছেমতো।
এর আগে কার্ব মার্কেটের অস্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) রাজধানীর ১৬৫টি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে সরেজমিন পর্যবেক্ষণে মাঠে নামে। রোববার (৩১ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০টি ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার ৩০টি টিম মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান সরেজমিন পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: